By Dr. Abdul Momen
(Photo courtesy of Al-Jazeera English)
The current emergency government of Bangladesh wants to eliminate ‘family politics' from Bangladesh. In particular, Law Advisor Mainul Hosein wants to prohibit any close relative of political leaders to run for or even hold any public office. So far, much of the intelligentsia seems in agreement.
The reason is clear. Both of the main political parties have benefited from their families, and their families have benefited even more. The excesses of the sons and brother of Khaleda Zia, the leader of BNP, are known widely. In Awami League, the oldest and the largest party, close relatives of Sheikh Hasina have run for elections and controlled access to her.
The two populations
Dynastic control has stifled the chances of democracy to take strong roots. In 1977, during a trip to Iran, General Zia, the dictator at that time, asked me about the population size in Bangladesh. I gave him two figures: 81 million, and ten thousand. Surprised, his Finance Advisor, Dr. M. N. Huda, asked me the reason. I told him, the country has 81 million to get foreign aid, and 10,000 for whom most rules and resources provide benefit.
With the advent of democracy in 1991, I would guess that number to have risen to about 100,000. These are the elite who enjoy access to power in a country of 147 million. So one should not oppose any sincere effort to distribute power further toward the masses.
Hypocrisy ... or not?
But is the current government really in any position to assail the political parties in a blanket way? Assuming that a civilian government is in control, the country is run by ten advisors appointed by the Chief Advisor, Dr. Fakhruddin Ahmed. Whom did he pick? His wife’s brother Dr. Ifitkher Ahmed Chowdhury is the Foreign Advisor, another brother-in-law’s wife, Geeti Ara Safia Chowdhury, is his Industry Advisor, and his batch-mate and old friend, Dr. Mirza Azizul Islam, is his Finance Advisor.
But since they are known to be competent, 'family politics' in this case is not considered bad. The Chief Advisor probably decided that he could trust them. Dr. ATM Shamsul Huda, the Chief Election Commissioner, is the brother-in-law of Education Advisor Ayub Quaderi. Does it mean that neither should be allowed to hold office? No. If they are competent, they can serve the community successfully without necessarily getting into a conflict of interest.
Similarly, Major (retd.) Iskander is the brother of Khaleda Zia. He is married to the sister-in-law of Major General Masududdin Chowdhury, commander of the powerful 9th Division, the current chief of the national commission against crime, and according to the Economist, the main architect of the anti-corruption drive. Does this mean that General Masududdin cannot hold office because his relatives (namely, Iskander, Tarique Rahman, and Arafat Rahman) are being investigated for corruption?
There’s nothing wrong with having confidence in people you know. In stable societies, if the possibility of direct involvement and partisanship arises, the official involved would generally withdraw himself or herself from that particular case. But this would not disqualify him from holding public office in general.
Making blanket slogans against ‘family politics,’ as the Law Advisor Mainul Hosein is fond of doing, can be politically convenient. But it is really hypocrisy. Moreover, it may not serve the nation's long-term interest.
Take a broader look
Family politics is common not only in Bangladesh and Pakistan, but also in more mature democracies. Think about India: Jawaharlal Nehru, Indira Gandhi, Rajiv Gandhi, Sonia Gandhi, and Rahul Gandhi. In Indonesia, President Sukarno's daughter Meghawati Sukarnoputri became President.
In Sri Lanka, Chandrika Kumaratunga was President between 1994 and 2005. Her father, Solomon Bandaranaike, was a prime minister, and after his assassination, her mother, Sirimavo Bandaranaike, became the world's first female prime minister.
In the United States, father and son John and Quincy Adams were the second and the sixth presidents of the country. The Bush presidency has gone awry, but everyone is familiar with the strong leadership provided by the three Kennedy brothers: the late John F., the late Robert, and current Senator Edward Kennedy, who was a vocal supporter of Bangladesh back in 1971.
In Massachusetts, a state that has pioneered many progressive movements in America, William Bulger was the President of the State Senate, even though his older brother, James Whitey Bulger, has been a notorious mobster and a fugitive from law for many decades. His brother’s criminal record did not prohibit William Bulger to hold public office successfully.
The frontrunner for Democrats in the United States now Hillary Rodham Clinton—and she is benefiting from having Bill Clinton as her strong supporter. Bill Clinton, the most popular US president in history, appointed most of his college friends as his secretaries.
Choose the right battle
Under Mainul Hossain's formula, both would be committing offenses. Hillary Clinton would have been disqualified to run for office. Don’t mind the fact that as a Senator, she is highly popular among her constituents.
Serving in public office is part of one’s basic civil and political rights, irrespective of family ties. It is not a government’s position to restrict this right. It is something that voters should choose. Even the first Islamic Caliphate was run successfully and liberally on the basis of family ties and kinship [1st Caliph Hazrat Abu Bakr (RA) was the father-in-law of Prophet Mohammed (PBUH) and his cousin/ daughter-in-law Hazrat Ali (RA) were the rightly guided caliphs].
The government’s crusade should not be against ‘family politics’ per se, but against incompetent and corrupt people. This will show respect for citizens’ political rights, which is something that advisors of this government have neglected so far. It will also be far less hypocritical. After all, they too have skeletons in their closets.
---------------
Dr. Abdul Momen is a professor of economics and business management at a college near Boston, USA, and a frequent commentator on current affairs in Bangladesh. E Mail :sylhet@verizon.net
Friday, June 22, 2007
Sunday, June 17, 2007
জামাতের আমলনামা:
জামাত শিবির ১৯৭১ সালে দেশের সাথে বেঈমানী করার জন্য সবসময়ই খুব গর্ববোধ করে। কখনও কোন জামাত-শিবিরের মধ্যে কোন অনুশোচনা বা অপরাধবোধের প্রকাশ দেখবেন না, যেমন দেখবেন না ঠান্ডা মাথায় হত্যাকারী খুনীর কনফেশনে। গণহত্যা ও নৃশংসতার সাথে পাকিস্তানী ঘাতকদের সাথে আগাগোড়া সহযোগিতার জন্য বিন্দুমাত্র অপরাধবোধ যাদের মনে নেই, চিন্তায় নেই, প্রকাশে নেই, তাদের স্পর্ধা ও সাহস আমাকে বিচলিত করে না। বরং তাদের এই দৃস্টিভঙ্গী সচেতন প্রজন্মকে অবিশ্বাস্যভাবে একত্রিত করে ঘাতকদের বিচারকে তরান্বিত করবে বলে আমার বিশ্বাস ও আস্থা প্রবল হতে থাকে।
এটা কারও অজানা নয় যে, জামাত যতোই গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না দেখাক না কেন তারা সবসময়ই সামরিক ও রাজনৈতিক স্বৈরাচারী শক্তির আশ্রয়ে বিকশিত হয়েছে। জামাতকে প্রতিহত করতে হলে তাদের অতীত ও বর্তমানকে সমানভাবে তুলে ধরতে হবে। তাদেরকে মোকাবেলা করতে হবে ধর্মীয়ভাবে, রাজনৈতিকভাবে ও আইনগতভাবে। ক'দিন আগে ঘাতকদের জন্য প্রমাণপঞ্জী নিয়ে পোস্টে তুলে ধরেছিলাম একটি বুকলেট। এধরণের প্রামাণ্য দলিল ও তথ্যসূত্র রাজাকার জামাত শিবিরের মুখের উপর ছুঁড়ে দিয়ে বলতে হবে কেন স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে ধর্মভিততিক রাজনীতির কোন সুযোগ নেই। ধর্ম নিয়ে তাদের বেচাকেনার হিসেব তুলে ধরতে হবে। ইসলাম ধর্ম কারও ব্যক্তিগত সম্পততি নয়, তাই ইসলাম নিয়ে দলীয় রাজনীতিরও কোন অবকাশ নেই।
জামাতের ধর্মভিততিক মুখোশ খুলে দিতে সবচেয়ে বেশী প্রামাণ্যতথ্য তুলে ধরেছে বাংলার ইসলাম ওয়েবসাইটটি। তবে রাজনৈতিকভাবে তাদের মোকাবেলার জন্য পড়ুন একাততরের ঘাতক জামাতে ইসলামীর অতীত ও বর্তমান বুকলেটটি। মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেন্দ্রের উদ্যোগে প্রকাশিত এই বুকলেটটি জামাতের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঘৃণ্য ভূমিকার কথা আমাদের সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেয়। বইটি পড়ুন এবং প্রচার করুন। চেতনা ৭১'এর সৌজন্যে এই বুকলেটটি পিডিএফ ফরম্যাটে আপনাদের জন্য দেওয়া হলো।
এই বুকলেটটি স্বাধীনতা পূর্ব বাংলাদেশে আর স্বাধীনতার পরবর্তীতে ঘাতক জামাতীদের কার্যক্রম ও বক্তব্য প্রমাণসহ তুলে ধরেছে। ১৯৭১এর ১৪ই আগস্ট গোলাম আযম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোষণা দেন মুক্তিযোদ্ধাদের দেশের শত্রু হিসেবে। খুব গর্বের সাথে বলেছিলেন, "বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য শান্তি কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে"। দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু ঘাতকের গর্ব বিন্দুমাত্র খর্ব হয়নি। তাদের বিচারের বিষয়টি হারিয়েছে রাজনীতির ডামাডোলে। বাংলাদেশের স্থিতি, শান্তি ও সকল শহীদদের ত্যাগের ঋণশোধের জন্য রাজাকারদের বিচারের কোন বিকল্প নেই।
১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরের ১ তারিখে গোলাম আযম করাচীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "কোন ভাল মুসলমানই তথাকথিত বাংলাদেশ আন্দোলনের সমর্থক হতে পারে না"। একই সময় ২৩শে সেপ্টেম্বর নিজামী বলেন, "যারা ইসলামকে ভালবাসে শুধুমাত্র তারাই পাকিস্তানকে ভালবাসে"। তাই স্বাধীন বাংলাদেশে এসব বেহায়ারা আবার মুসলমান হিসেবে দাবী করে নিজেদের ঈমানের সাথেই বেঈমানীর প্রমাণ দিচ্ছে। তাদের পাকিস্তানপ্রীতি বদলায়নি, শুধু বদলে গেছি আমরা এসব ঘাতকদের পাশে বসার সুযোগ করে দিয়ে। যুদ্ধাপরাধী জামাতীদের রাজনৈতিকভাবে পূনর্বাসিত করে বেঈমানী করছি তিরিশ লাখ শহীদের রক্তের সাথে।
এ কারণেই ১৯৮৬ সালের ১৪ই জানুয়ারী জামাত নেতা আব্বাস আলী খান যখন করাচীতে ঘোষণা দিয়ে আসেন, "বাংলাদেশের জনগণ এখন পাকিস্তানের সাথে তাদের বিচ্ছেদের কারণে অনুতপ্ত" তখন তার বিরুদ্ধে রাস্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ আসে না। ভুলেই গেলাম ছিয়াশি সালে কারা যেন ক্ষমতায় ছিল? অথচ সেদিনও পাকিস্তানী সিনেটর খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে। না, তারপরেও জামাত-শিবিরের মধ্যে কোন অপরাধবোধ জাগবে না।
কাওকে অনুতপ্ত করার নিষ্ফল চেস্টার জন্য এই লেখা নয়। সেই আশা বড্ডো অমূলক। ১৯৭১ সালের রাজাকার যুদ্ধাপরাধী জামাতীদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবার কোন বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের নিত্যকারের সংগ্রামের সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সম্পৃক্ত করতে হবে। মৌলবাদের বিষক্রিয়া যখন দেশকে দূষিত করছে তখন মৌলবাদী রাজনীতির ধারক-বাহক-পৃষ্ঠপোষক জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার কোন বিকল্প নেই। ঘাতক যখন আশ্রয় পায়, আর পৃষ্ঠপোষকতা পায় রাজনৈতিকভাবে ও রাস্ট্রীয়ভাবে, তখন সে স্পর্ধা তো দেখাবেই বিচারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে। কোন ক্রোধ, হিংসা বা দ্বেষ দিয়ে নয়, বরং যুদ্ধাপরাধী জামাতীদের বিচারের লক্ষ্যে সামাজিক ও আইনগত আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমেই সম্ভব তাদের এই নির্লজ্জ স্পর্ধাকে গুঁড়িয়ে দেওয়া।
এটা কারও অজানা নয় যে, জামাত যতোই গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না দেখাক না কেন তারা সবসময়ই সামরিক ও রাজনৈতিক স্বৈরাচারী শক্তির আশ্রয়ে বিকশিত হয়েছে। জামাতকে প্রতিহত করতে হলে তাদের অতীত ও বর্তমানকে সমানভাবে তুলে ধরতে হবে। তাদেরকে মোকাবেলা করতে হবে ধর্মীয়ভাবে, রাজনৈতিকভাবে ও আইনগতভাবে। ক'দিন আগে ঘাতকদের জন্য প্রমাণপঞ্জী নিয়ে পোস্টে তুলে ধরেছিলাম একটি বুকলেট। এধরণের প্রামাণ্য দলিল ও তথ্যসূত্র রাজাকার জামাত শিবিরের মুখের উপর ছুঁড়ে দিয়ে বলতে হবে কেন স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে ধর্মভিততিক রাজনীতির কোন সুযোগ নেই। ধর্ম নিয়ে তাদের বেচাকেনার হিসেব তুলে ধরতে হবে। ইসলাম ধর্ম কারও ব্যক্তিগত সম্পততি নয়, তাই ইসলাম নিয়ে দলীয় রাজনীতিরও কোন অবকাশ নেই।
জামাতের ধর্মভিততিক মুখোশ খুলে দিতে সবচেয়ে বেশী প্রামাণ্যতথ্য তুলে ধরেছে বাংলার ইসলাম ওয়েবসাইটটি। তবে রাজনৈতিকভাবে তাদের মোকাবেলার জন্য পড়ুন একাততরের ঘাতক জামাতে ইসলামীর অতীত ও বর্তমান বুকলেটটি। মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেন্দ্রের উদ্যোগে প্রকাশিত এই বুকলেটটি জামাতের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঘৃণ্য ভূমিকার কথা আমাদের সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেয়। বইটি পড়ুন এবং প্রচার করুন। চেতনা ৭১'এর সৌজন্যে এই বুকলেটটি পিডিএফ ফরম্যাটে আপনাদের জন্য দেওয়া হলো।
এই বুকলেটটি স্বাধীনতা পূর্ব বাংলাদেশে আর স্বাধীনতার পরবর্তীতে ঘাতক জামাতীদের কার্যক্রম ও বক্তব্য প্রমাণসহ তুলে ধরেছে। ১৯৭১এর ১৪ই আগস্ট গোলাম আযম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোষণা দেন মুক্তিযোদ্ধাদের দেশের শত্রু হিসেবে। খুব গর্বের সাথে বলেছিলেন, "বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য শান্তি কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে"। দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু ঘাতকের গর্ব বিন্দুমাত্র খর্ব হয়নি। তাদের বিচারের বিষয়টি হারিয়েছে রাজনীতির ডামাডোলে। বাংলাদেশের স্থিতি, শান্তি ও সকল শহীদদের ত্যাগের ঋণশোধের জন্য রাজাকারদের বিচারের কোন বিকল্প নেই।
১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরের ১ তারিখে গোলাম আযম করাচীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "কোন ভাল মুসলমানই তথাকথিত বাংলাদেশ আন্দোলনের সমর্থক হতে পারে না"। একই সময় ২৩শে সেপ্টেম্বর নিজামী বলেন, "যারা ইসলামকে ভালবাসে শুধুমাত্র তারাই পাকিস্তানকে ভালবাসে"। তাই স্বাধীন বাংলাদেশে এসব বেহায়ারা আবার মুসলমান হিসেবে দাবী করে নিজেদের ঈমানের সাথেই বেঈমানীর প্রমাণ দিচ্ছে। তাদের পাকিস্তানপ্রীতি বদলায়নি, শুধু বদলে গেছি আমরা এসব ঘাতকদের পাশে বসার সুযোগ করে দিয়ে। যুদ্ধাপরাধী জামাতীদের রাজনৈতিকভাবে পূনর্বাসিত করে বেঈমানী করছি তিরিশ লাখ শহীদের রক্তের সাথে।
এ কারণেই ১৯৮৬ সালের ১৪ই জানুয়ারী জামাত নেতা আব্বাস আলী খান যখন করাচীতে ঘোষণা দিয়ে আসেন, "বাংলাদেশের জনগণ এখন পাকিস্তানের সাথে তাদের বিচ্ছেদের কারণে অনুতপ্ত" তখন তার বিরুদ্ধে রাস্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ আসে না। ভুলেই গেলাম ছিয়াশি সালে কারা যেন ক্ষমতায় ছিল? অথচ সেদিনও পাকিস্তানী সিনেটর খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে। না, তারপরেও জামাত-শিবিরের মধ্যে কোন অপরাধবোধ জাগবে না।
কাওকে অনুতপ্ত করার নিষ্ফল চেস্টার জন্য এই লেখা নয়। সেই আশা বড্ডো অমূলক। ১৯৭১ সালের রাজাকার যুদ্ধাপরাধী জামাতীদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবার কোন বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের নিত্যকারের সংগ্রামের সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সম্পৃক্ত করতে হবে। মৌলবাদের বিষক্রিয়া যখন দেশকে দূষিত করছে তখন মৌলবাদী রাজনীতির ধারক-বাহক-পৃষ্ঠপোষক জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার কোন বিকল্প নেই। ঘাতক যখন আশ্রয় পায়, আর পৃষ্ঠপোষকতা পায় রাজনৈতিকভাবে ও রাস্ট্রীয়ভাবে, তখন সে স্পর্ধা তো দেখাবেই বিচারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে। কোন ক্রোধ, হিংসা বা দ্বেষ দিয়ে নয়, বরং যুদ্ধাপরাধী জামাতীদের বিচারের লক্ষ্যে সামাজিক ও আইনগত আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমেই সম্ভব তাদের এই নির্লজ্জ স্পর্ধাকে গুঁড়িয়ে দেওয়া।
Monday, June 4, 2007
কোন এক হিরোর কথা
উপসাগরীয় যুদ্ধের অব্যবহিত পরের কথা। মধ্যপ্রাচ্য তখন সরগরম আমেরিকা-ইরাক ইস্যুতে। যুদ্ধবিধ্বস্ত কুয়েতের পূনর্গঠন প্রয়োজন। এর জন্য চাই প্রচুর শ্রমিক। প্রচুর বিদেশী শ্রমিক, অভাব অনটনে থাকা তৃতীয় বিশ্বের শ্রমিক যাদের অল্প পারিশ্রমিকে কাজ করানো যাবে। যারা তাদের সামর্থ্যের সেরাটা দিবে, এমন শ্রমিক চাই। সবদিক বিবেচনা করে উপমহাদেশের জোয়ান তরুণদের চাহিদা তুঙ্গে তখন মধ্যপ্রাচ্যে। জনশক্তি রপ্তানীর এজেন্টদের তখন রমরমা অবস্থা। লোকজন আসে, ইন্টারভিউ দেয়, মেডিক্যাল টেস্ট করায়, টাকা দিয়ে বাড়ি চলে যায়। "ভিসা লাগলে খবর দিমু নে"- এরকম কথার ওপর বিশ্বাস নিয়ে বাড়ি চলে আসে মধ্যপ্রাচ্য গমনে প্রত্যাশী তরুণ।
শফিকুল, চরম হতাশাগ্রস্ত একজন গ্রাম্য তরুণ। তেমন কিছুই করে না। তারা চার ভাই, দুইবোনের একজনের আগেই বিয়ে হয়ে গেছে। বাবার বেশ কয়েক বিঘা কৃষি জমি আছে। মোটামুটি চলে যায় সারাবছর কৃষিকাজ করে। উপসাগরীয় যুদ্ধের পরে কুয়েত পুনর্ঠনে যোগ দিতে সচেষ্ট হয় সে। এজেন্টের কাছে টাকা দেবার অভিপ্রায়ে বেঁচে দেয়া হয় তাদের কয়েক বিঘা জমির অনেকটা। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, এজেন্টের কাছ থেকে "কালকেই ফ্লাইট" টাইপের একাধিকবার নাকানী-চুবানী খেয়ে যখন সে ম্রিয়মান ঠিক তখনই একদিন খবর আসে তার "ভিসা লেগেছে", কাল ভোরে ফ্লাইট, এক্ষুনী যেতে হবে।
গাঁয়ের সবার কাছে বিদায় নিয়ে চলে যায় শফিকুল। পিছনে তার মা বড় রাস্তাটা পর্যন্ত আসেন আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে। ছেলে বিদেশ চলে যাচ্ছে কতগুলো বছরের জন্য কে জানে, এই ভাবনা তাঁকে কুঁড়ে খেলেও শফিকুলের বাবা ভাবেন তখন অন্যকথা। জমি বেঁচে দেয়া টাকা, যদি কোন রকমে ফসকে যায় তাহলে সংসারের কী হবে!
মায়ের চোখের পানি, বাবার উদ্বিগ্ন চোখ, ভাইদের আশান্বিত দৃষ্টি সাথে করে শফিকুল অবশেষে কুয়েতগামী বিমানে চড়ে বসে। হ্যাঙ্গার থেকে বের হয়ে বিমান ট্যাক্সিং করছে এখন, শফিকুল জানালা গলে বাইরে তাকিয়ে আছে। কী সুন্দর ঝলমলে রোদ! আচ্ছা, ও যেখানে যাচ্ছে সেখানে কি এরকম সুন্দর, মনোরম, ঝলমলে রোদ উঠে? সেখানেও কি বিকেল বেলা দক্ষিণ দিক থেকে আসা বাতাসে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া যায়? সেখানেও কি গোধূলী বেলাতে গোয়ালে গরু আনার তাড়া পরে যায়? সন্ধ্যা বেলায় কি সেখানেও কাটা ধান কাঁধে নিয়ে বাড়ি ফিরে লোকজন, কারেন্ট চলে গেলে কি সেখাও বাড়ির সবাই উঠানে ওগলা পেতে বসে গল্পো করে? সেখানকার মানুষেরা কি অনেকদূরের গ্রামের কোন মানুষকে বিনা পরিচয়েই ঘরের দাওয়ায় বসিয়ে প্রজন্ড গরম থেকে বাঁচতে একটা বাতাসার সাথে এক গ্লস পানি দেয়?
হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে শফিকুল। বিমান ততক্ষণে ট্যাক্সিং থেকে রানওয়েতে, টেকঅফ করার মুহূর্ত! জানালার কাঁচে হাত রেখে শফিকুল কেঁদে চলে অনবরত। হাতের স্পর্শে সে যেন বাইরের আলো, বাইরের বাতাস, বাইরের প্রকৃতিকে ছুঁতে চাচ্ছে কিংবা হাত বুলিয়ে দিচ্ছে যেমনটা মানুষ করে অতিপ্রিয় কোন জিনিষকে ছেড়ে যাবার সময়!
সময় চলে যায় নিজস্ব গতিতে। বাড়ি থেকে চিঠি আসে, চিঠি যায়। শফিকুল প্রতি চিঠিতেই জানতে চায় তার লাগানো জাম্বুরা গাছে জাম্বুরা ধরেছে কিনা, পুকুরের পাশের ডোবা এবর সেঁচা হলো কিনা, ইরির ফলন কেমন হলো এবার, পাশের বাড়ির রমুকাকা ছেলেপেলে নিয়ে এখনো কষ্ট করে কীনা, নিজের দাদী নেই, চাচাতো দাদীর বয়স হয়েছে যত্ন-আত্নির যেন কমতি নাহয় তার। এভাবেই সে চিঠি লিখে প্রতিবার, চিঠির সাথে পাঠিয়ে দেয় তার কষ্টের বেতনের থেকে বাঁচানো সিংহভাগের ব্যাংকড্রাফট!
শফিকুলদের বাড়িতে পাওয়ারলুম হয়েছে। সেখানে তার ভাইয়েরা কাজ করে। তাঁত বুনে, প্রতি মঙ্গলবারে সেই তাঁত তারা হাঁটে নিয়ে যায়, বেঁচে। বেড়ার ঘরের বদলে এখন ভিটপাকা চৌচালা হেছে শফিকুলদের। বড়ভাই বিয়ে করেছেন বছর খানেক হয়, বোনটার জন্য ভালো জায়গা থেকে সম্মন্ধ আসছে। মা চোখে দেখতেন না, ডাক্তার দেখিয়ে এখন চশমা নিয়েছেন। বাবাকে ভাইয়েরা রিটয়ারমেন্টে দিয়ে দিয়েছে "এখন আপনে আল্লা বিল্লা করেন" - এই বলে। সবই সুন্দর চলছে, সবকিছুই ঠিক। নিজের অজান্তেই শফিকুল একজন হিরো। তার পরিবারের সবার কাছে, তার চাচাতো দাদীর কাছে, তার রমুকাকার কাছে।
কিন্তু শফিকুল? সবাইকে ছেড়ে একা পড়ে আছে সুদূর মরুভূমিতে। হয়তো সে কাঠাফাটা রোদ্দুরে, দুপুরের কোন এক সময়ে হাড়ভাঙা খাটুনির ফাঁকে একটু বসে কোন জায়গায়। মাথা থেকে ময়লা লাগানো ক্যাপটা সরিয়ে ঘর্মাক্ত মুখটা ডানহাতের তালু দিয়ে মুছে উদাস দৃষ্টিতে ভাবে দেশে থাকার সেই দিনগুলোর কথা। নিজের গ্রামের কথা, সরষে ক্ষেতের আইল ধরে দৌড়ানোর কথা, বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলার কথা, মায়ের হাতের শোল মাছ দিয়ে গাছের প্রথম লাউয়ের ঝোল খাওয়ার কথা।
এসব ভাবতে ভাবতেই হয়তো একসময় ডাক পরে শফিকুলের, কাজে ফেরত যাবার ডাক!
অনিচ্ছা সত্বেও ময়লা ক্যাপটা মাথায় চাপায় শফিকুল। প্যান্ট গুটানো পা আবার শক্ত হয়ে ওঠে, না তার বিলম্ব করা উচিৎ হবে না একেবারেই। হিরোদের বিলম্ব করা মানায় না, হিরোদের থেমে গেলে চলে না। হিরো, আমাদের হিরো শফিকুলেরা!!
-।-।-।-।-।-।-।-।-।-।-।-।-
* একই সাথে হাজারদুয়ারীতে প্রকাশিত।
** যারা 'হাইলী লোস্পীড সিনড্রোমে' ভুগছেন তারা এখানে ট্রাই দিতে পারেন। ইউনিকোডে হাজারদুয়ারী
শফিকুল, চরম হতাশাগ্রস্ত একজন গ্রাম্য তরুণ। তেমন কিছুই করে না। তারা চার ভাই, দুইবোনের একজনের আগেই বিয়ে হয়ে গেছে। বাবার বেশ কয়েক বিঘা কৃষি জমি আছে। মোটামুটি চলে যায় সারাবছর কৃষিকাজ করে। উপসাগরীয় যুদ্ধের পরে কুয়েত পুনর্ঠনে যোগ দিতে সচেষ্ট হয় সে। এজেন্টের কাছে টাকা দেবার অভিপ্রায়ে বেঁচে দেয়া হয় তাদের কয়েক বিঘা জমির অনেকটা। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, এজেন্টের কাছ থেকে "কালকেই ফ্লাইট" টাইপের একাধিকবার নাকানী-চুবানী খেয়ে যখন সে ম্রিয়মান ঠিক তখনই একদিন খবর আসে তার "ভিসা লেগেছে", কাল ভোরে ফ্লাইট, এক্ষুনী যেতে হবে।
গাঁয়ের সবার কাছে বিদায় নিয়ে চলে যায় শফিকুল। পিছনে তার মা বড় রাস্তাটা পর্যন্ত আসেন আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে। ছেলে বিদেশ চলে যাচ্ছে কতগুলো বছরের জন্য কে জানে, এই ভাবনা তাঁকে কুঁড়ে খেলেও শফিকুলের বাবা ভাবেন তখন অন্যকথা। জমি বেঁচে দেয়া টাকা, যদি কোন রকমে ফসকে যায় তাহলে সংসারের কী হবে!
মায়ের চোখের পানি, বাবার উদ্বিগ্ন চোখ, ভাইদের আশান্বিত দৃষ্টি সাথে করে শফিকুল অবশেষে কুয়েতগামী বিমানে চড়ে বসে। হ্যাঙ্গার থেকে বের হয়ে বিমান ট্যাক্সিং করছে এখন, শফিকুল জানালা গলে বাইরে তাকিয়ে আছে। কী সুন্দর ঝলমলে রোদ! আচ্ছা, ও যেখানে যাচ্ছে সেখানে কি এরকম সুন্দর, মনোরম, ঝলমলে রোদ উঠে? সেখানেও কি বিকেল বেলা দক্ষিণ দিক থেকে আসা বাতাসে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া যায়? সেখানেও কি গোধূলী বেলাতে গোয়ালে গরু আনার তাড়া পরে যায়? সন্ধ্যা বেলায় কি সেখানেও কাটা ধান কাঁধে নিয়ে বাড়ি ফিরে লোকজন, কারেন্ট চলে গেলে কি সেখাও বাড়ির সবাই উঠানে ওগলা পেতে বসে গল্পো করে? সেখানকার মানুষেরা কি অনেকদূরের গ্রামের কোন মানুষকে বিনা পরিচয়েই ঘরের দাওয়ায় বসিয়ে প্রজন্ড গরম থেকে বাঁচতে একটা বাতাসার সাথে এক গ্লস পানি দেয়?
হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে শফিকুল। বিমান ততক্ষণে ট্যাক্সিং থেকে রানওয়েতে, টেকঅফ করার মুহূর্ত! জানালার কাঁচে হাত রেখে শফিকুল কেঁদে চলে অনবরত। হাতের স্পর্শে সে যেন বাইরের আলো, বাইরের বাতাস, বাইরের প্রকৃতিকে ছুঁতে চাচ্ছে কিংবা হাত বুলিয়ে দিচ্ছে যেমনটা মানুষ করে অতিপ্রিয় কোন জিনিষকে ছেড়ে যাবার সময়!
সময় চলে যায় নিজস্ব গতিতে। বাড়ি থেকে চিঠি আসে, চিঠি যায়। শফিকুল প্রতি চিঠিতেই জানতে চায় তার লাগানো জাম্বুরা গাছে জাম্বুরা ধরেছে কিনা, পুকুরের পাশের ডোবা এবর সেঁচা হলো কিনা, ইরির ফলন কেমন হলো এবার, পাশের বাড়ির রমুকাকা ছেলেপেলে নিয়ে এখনো কষ্ট করে কীনা, নিজের দাদী নেই, চাচাতো দাদীর বয়স হয়েছে যত্ন-আত্নির যেন কমতি নাহয় তার। এভাবেই সে চিঠি লিখে প্রতিবার, চিঠির সাথে পাঠিয়ে দেয় তার কষ্টের বেতনের থেকে বাঁচানো সিংহভাগের ব্যাংকড্রাফট!
শফিকুলদের বাড়িতে পাওয়ারলুম হয়েছে। সেখানে তার ভাইয়েরা কাজ করে। তাঁত বুনে, প্রতি মঙ্গলবারে সেই তাঁত তারা হাঁটে নিয়ে যায়, বেঁচে। বেড়ার ঘরের বদলে এখন ভিটপাকা চৌচালা হেছে শফিকুলদের। বড়ভাই বিয়ে করেছেন বছর খানেক হয়, বোনটার জন্য ভালো জায়গা থেকে সম্মন্ধ আসছে। মা চোখে দেখতেন না, ডাক্তার দেখিয়ে এখন চশমা নিয়েছেন। বাবাকে ভাইয়েরা রিটয়ারমেন্টে দিয়ে দিয়েছে "এখন আপনে আল্লা বিল্লা করেন" - এই বলে। সবই সুন্দর চলছে, সবকিছুই ঠিক। নিজের অজান্তেই শফিকুল একজন হিরো। তার পরিবারের সবার কাছে, তার চাচাতো দাদীর কাছে, তার রমুকাকার কাছে।
কিন্তু শফিকুল? সবাইকে ছেড়ে একা পড়ে আছে সুদূর মরুভূমিতে। হয়তো সে কাঠাফাটা রোদ্দুরে, দুপুরের কোন এক সময়ে হাড়ভাঙা খাটুনির ফাঁকে একটু বসে কোন জায়গায়। মাথা থেকে ময়লা লাগানো ক্যাপটা সরিয়ে ঘর্মাক্ত মুখটা ডানহাতের তালু দিয়ে মুছে উদাস দৃষ্টিতে ভাবে দেশে থাকার সেই দিনগুলোর কথা। নিজের গ্রামের কথা, সরষে ক্ষেতের আইল ধরে দৌড়ানোর কথা, বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলার কথা, মায়ের হাতের শোল মাছ দিয়ে গাছের প্রথম লাউয়ের ঝোল খাওয়ার কথা।
এসব ভাবতে ভাবতেই হয়তো একসময় ডাক পরে শফিকুলের, কাজে ফেরত যাবার ডাক!
অনিচ্ছা সত্বেও ময়লা ক্যাপটা মাথায় চাপায় শফিকুল। প্যান্ট গুটানো পা আবার শক্ত হয়ে ওঠে, না তার বিলম্ব করা উচিৎ হবে না একেবারেই। হিরোদের বিলম্ব করা মানায় না, হিরোদের থেমে গেলে চলে না। হিরো, আমাদের হিরো শফিকুলেরা!!
-।-।-।-।-।-।-।-।-।-।-।-।-
* একই সাথে হাজারদুয়ারীতে প্রকাশিত।
** যারা 'হাইলী লোস্পীড সিনড্রোমে' ভুগছেন তারা এখানে ট্রাই দিতে পারেন। ইউনিকোডে হাজারদুয়ারী
Saturday, June 2, 2007
মহীউদ্দীন আপডেট:
বঙ্গবন্ধুর অন্যতম হত্যাকারী মহীউদ্দীনের ডিপোর্টেশনের বিরুদ্ধে আপীল ক্যালিফোর্নিয়ার নবম সার্কিট কোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে মে মাসের ২৫ তারিখে। এই মুহুর্ত্বে যখন মার্কিন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে দেশে পাঠানোর কথা তখন তার পরিবারের পক্ষ থেকে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য জোর তদবির চালানো হচ্ছে। বিচারে প্রমানিত খুনীর পক্ষে তদবির করছেন প্রাক্তন কানাডীয় মন্ত্রী। এই ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আমার চোখে পড়েনি। সরকার খুনী অপরাধী মহীউদ্দীনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এই মুহুর্ত্বে কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জানার অধিকার আমাদের সবার আছে।
এছাড়া, মার্কিন কর্তৃপক্ষকে এটা স্পস্ট করে জানাবার দরকার যে প্রমানিত ঘাতককে ফেরত না পাঠালে এটা মার্কিনীদের জন্য বাজে নজির হয়ে থাকবে। কানাডার পত্রিকায় মহীউদ্দীনের কন্যার আকুল আবেদন ছাপানো হয়েছে। অথচ সরকার কি কানাডীয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে তাকে আশ্রয় না দেওয়ার জন্য। খুনী আর ঘাতক মহীউদ্দীনকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দরকার এ ব্যাপারে ব্যাপক জনসংযোগ। এ ব্যাপারে রহস্যজনক নীরবতা কেবল প্রশ্নের জন্ম দিবে। এর অবসান ঘটাবে না। আশা করি, মহীউদ্দীনকে অনতিবিলম্বে ফেরত এনে বিচারের সম্মুখীন করে সরকার তার শুভবুদ্ধির পরিচয় দিবে।
এছাড়া, মার্কিন কর্তৃপক্ষকে এটা স্পস্ট করে জানাবার দরকার যে প্রমানিত ঘাতককে ফেরত না পাঠালে এটা মার্কিনীদের জন্য বাজে নজির হয়ে থাকবে। কানাডার পত্রিকায় মহীউদ্দীনের কন্যার আকুল আবেদন ছাপানো হয়েছে। অথচ সরকার কি কানাডীয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে তাকে আশ্রয় না দেওয়ার জন্য। খুনী আর ঘাতক মহীউদ্দীনকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দরকার এ ব্যাপারে ব্যাপক জনসংযোগ। এ ব্যাপারে রহস্যজনক নীরবতা কেবল প্রশ্নের জন্ম দিবে। এর অবসান ঘটাবে না। আশা করি, মহীউদ্দীনকে অনতিবিলম্বে ফেরত এনে বিচারের সম্মুখীন করে সরকার তার শুভবুদ্ধির পরিচয় দিবে।
Subscribe to:
Posts (Atom)