Thursday, May 17, 2007

জামাতীদের নোংরা কৌশল

একমাত্র জামাতীদের পক্ষেই সম্ভব দুই নাম্বারী খবরকে হেডলাইন দেওয়া। গতকাল দৈনিক সংগ্রামের প্রথম পাতার খবর দেখে আমার চক্ষু চড়ক গাছ। ব্লগে যেমন অনেকের লেখায় আমি বিনোদন পাই, পত্রিকা হিসেবে দৈনিক সংগ্রাম নজর কাড়ে তাদের বিনোদনমূলক উপকরণের জন্য। তবে গতকালকের খবরটা নিয়ে লিখতে গিয়ে আরেকটু গবেষণা করতে শুরু করলাম। কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে এলো।

জামাতীইসলামীবাংলাদেশ নামে গুগলমেইল দিয়ে শামীম চৌধুরী নামে একজন গ্রুপে ইমেইল পোস্ট করে শেখ হাসিনার ঢাকায় প্রত্যাবর্তনে জনতার মিছিলের খবর দিয়েছেন। এতে রাজনৈতিকভাবে হেয় হয়েছে জামাতীরা। এখন তার এই প্রচারণার কারণে জামাতে ইসলামীকে তত্বাবধায়ক সরকার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। কি সর্বনাশ!!! যেহেতু ই-মেইলটি ইয়াহু গ্রুপে ছাড়া হয়েছে জামাতে ইসলামী ইমেইল আইডি দিয়ে। শামীম চৌধুরী কে আমি জানি না। তবে খবরটি বেশ চমকপ্রদ মনে হওয়াতে শুরু করলাম খোঁজখবর নেওয়া। ইয়াহু গ্রুপে গিয়ে দেখলাম শামীম চৌধুরীর ই-মেইল আছে তার নিজের নামে। তার লেখার সাথে সম্পর্ক নেই কোন জামাতীইসলামীবাংলাদেশ গুগলমেইল আইডির। ইয়াহু গ্রুপে ই-মেইল ছাড়লে তাতে মূল লেখকের নাম পাশেই আসে। আর কপি পেস্ট করে অন্যখান থেকে জোড়াতালি লাগালে সেটা চলে যায় মাঝখানে। হায়রে, জামাতী নির্বোধরা। চুরি যদি করতে হয়, আরেকটু বুদ্ধি খাটিয়েই করো। ইয়াহু গ্রুপটা ছেঁকে দেখলেই বুঝা যায় মৌলবাদী জামাতীদের ধান্ধা। নিজেরাই এরা নিজেদের খবর তৈরী করে। সেনশেসন তৈরী করে। নতুন কিছু না।

খবরটা দেখে একটু মজা পেলাম। ব্যাপারটা মনে করিয়ে দেয় জামাতীদের নোংরা কৌশলের কথা। শিরোনাম তৈরী করতে এদের ইয়াহু গ্রুপের স্বরচিত ই-মেইল লাগে। নিজেরা কপি পেস্ট করে ছেড়ে দিল। আর দৈনিক সংগ্রামের পাঠকরাও তা সাথে সাথে গলাধ:করণ করল। কিন্তু ব্যাপারটা বেশ মজার যে গুগল মেইল আইডি কয়েক বছর আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জিমেইল আসার পরপরই। মার্কিন মুল্লুকে নাকি গুগলমেইল দেওয়াই হয় না বলে ব্লগের আরেক কম্পু বিশেষজ্ঞ ই-মেইল করে জানালেন। খবরটা শুনে আমারও আক্কেলগুড়ুম। অন্যদিক জামাতীদের ইয়াহু গ্রুপগুলো গত ক'দিন থেকে শামীম চৌধুরীকে শিরোনাম বানিয়ে ইয়াহু গ্রুপ কাঁপিয়ে ভোদরের মতো নাচছে। এখন এই বানেয়াট ই-মেইলের কারণে যদি সরকার জামাতে ইসলামকে বন্ধ করে দেয় তাহলে ইসলামী আন্দোলনের কাফেলা কোথায় গিয়ে ঠাঁই নেবে? হঠাত জামাতে ইসলাম দেখি আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম করতে চায়। তাতে ইয়াহু গ্রুপ থেকে যদি একজন শামীম সাহেবকে পাওয়া যায়, তাহলে মন্দ কি?

সাংবাদিক বন্ধুদেরকে খোঁজ নিতে বললাম। সকাল নাগাদ ই-মেইলের মাধ্যমে জানলাম, শামীম চৌধুরী নামে একজন মার্কিন মুল্লুকে আছেন। তবে তিনি আওয়ামী লীগের কোন কর্তাব্যক্তি নন। গত বছরই তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাহী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এখন তার নাম ভাংগিয়ে যদি জামাতের মাঠ গরম করা যায়। জেহাদী জোশ বিতরণের জন্য দরকার কিছু নাম। কিছু উড়ো খবর। কাট-পেস্ট করে খবর দিয়ে কর্মী-সাথীদের জেহাদী জোশকে চাঙ্গা করা। হায়রে নোংরা কৌশল!!! ইসলামী আন্দোলন বেচে যাদের জীবন চলে তাদের জন্যই এধরনের উড়ো খবরকে পত্রিকার শিরোনাম বানানো সম্ভব।

আওয়ামী লীগ আর বিএনপি রাজনীতির সাথে জামাতীদের চারিত্রিক ব্যবধান হচ্ছে তারা সবসময়ই কৌশলগতভাবে তাদের অবস্থানকে সংহত করে। এজন্য জামাতীদের কৃতিত্ব কখনো খাটো করা যায় না। ধর্ম দিয়ে, আবেগ দিয়ে, কৌশল দিয়ে, প্রলোভন দেখিয়ে তারা রাজনৈতিক শক্তি সংহত ও বিস্তৃত করে। ইয়াহু গ্রুপগুলোতে টোকা দিলেই বুঝা যায় তাদের শেকড়ের বিস্তৃতি। এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিরা অনেক পিছিয়ে আছে। জামাতীরা সফলভাবে তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে ডাহুক ইয়াহু গ্রুপ আর সোনার বাংলাদেশ ইয়াহু গ্রুপ দিয়ে। একাততরের চেতনাকে যদি সংহত করতে হয় আর জামাতী রাজাকারদের প্রতিহত করতে হয়, তাহলে এসব ইন্টারনেট গ্রুপগুলোর মৌলবাদী প্রচারণার প্রতি চোখ রাখার খুব দরকার। না হলে এরা কপি পেস্টের আশীর্বাদে নতুন জেহাদী জোশ নির্বোধদের জন্য বিতরণ করে যাবে।

killing of Cholesh Richil

killing of Cholesh Richil, a minority community leader

Shabbir Ahmed


Because of the folly of a few politicians who wanted to rig the election by questionable means our motherland, Bangladesh, went through a period of turmoil and turbulence before the current government under Dr. Fakhruddin Ahmed took over power. The people of Bangladesh including the expatriate Bangalees were happy to see the change of the government. It was anticipated that Bangladesh would be governed by a well-educated and well-experienced person like Dr. Fakhruddin Ahmed, who would uphold the rule of law and human rights in Bangladesh. As far as I remember, he himself expressed his determination in his first speech to maintain the human rights and rule of law for the people of Bangladesh. Unfortunately, there occurred a number of disturbing incidences in Bangladesh while the government is headed by a western-educated individual like Dr. Fakhruddin Ahmed, who seemingly appeared to be committed to prevent any violation of human rights.

One of the disturbing occurrences is the killing of Mr. Cholesh Richil (a Garo tribe leader) by the combined forces consisting of army, police, and rapid action battalion. Dr. Zafar Iqbal wrote a sub-editorial on the gruesome killing of Mr. Richil by the combined forces in vernacular newspaper, Prothom-Alo, a few days ago. It is difficult to control emotion for the victim, Mr. Cholesh Richil and to control anger against those who committed the crime by killing him mercilessly. The description of the killing given by Dr. Zafar Iqbal exposed the sadistic and animalistic nature of those individuals, who killed the minority community leader from Madhupur area of Mymensingh district.

Dr. Zafar Iqbal’s sub-editorial indicates that Mr. Richil was returning from the wedding ceremony of his nephew while he was picked up by forty armed persons of the combined forces. They took him to their camp where they tied the victim to a window grill. An officer ordered his people to give Mr. Richil a lesson. Following the army boss’s order, nine people started beating Mr. Richil in an inhuman and brutal fashion. At one point, Mr. Richil started throwing blood through his mouth and became unconscious. When he got his conscious back, the killers started to beat him again. Then, they poured hot water through the nose of the victim. The killers did several things that include: taking his nails off from the fingers, inserting nails in his hands and legs, and gauged his eyes. Dr. Zafar Iqbal knew about many more torture unleashed upon Mr. Richil but these were so brutal, sadistic, and animalistic that he preferred not to mention them at all. Finally, the hapless victim died in the hands of his killers of the combined forces. We saw and heard about these brutalities by the Pakistani military in 1971 but in 2007 Mr. Richil was tortured and killed by the combined forces of his own country Bangladesh, which receives 100% of its funding from taxpayers such as Mr. Richil.

There are ample reasons why the combined forces targeted the Garo community leader. Read on and you will learn more on this. Originally, Mr. Cholesh Richil antagonized the fundamentalist alliance government under Bangladesh Nationalist Party (BNP) and Jamaat-i-Islami (JI). The government wanted to establish an Eco-Park in Modhupur, where Garo tribe people lived. It was planned to evict about twenty five thousand Garo tribe people systematically from Modhupur. Mr. Cholesh Richil organized the Garo tribe people and subsequently led a protest rally on January 3, 2004. The police forces under then fundamentalist government fired shots mercilessly at the rally. One person died and many tribal people were wounded. Subsequently, the government filed five thousand cases against the Garo people in Modhupur police station. In almost all the cases, Cholesh Richil was named as an accused. Under protest from different quarters along with the tribe people, the government stopped building the Eco-Park. In the emergency rule under the government of Dr. Fakhruddin Ahmed, the works on building the Eco-Park resumed. Mr. Cholesh Richil again organized the tribe people and protested. As a consequence, he was picked up and later killed by a group of people belonging to the combined forces.

In a Bangla vernacular newspaper it was recently mentioned that the forest department officials in Madhupur has adversarial relationship with Mr. Richil. The Garo community leader opposed indiscriminate cutting of the trees in the nearby forest. In all likelihood the forest officials were illegally cutting the trees to pocket the money. Therefore, they also targeted Mr. Richil for harassment. It makes sense why the government forces had arrested the minority community leader.

In another development, in the SAARC summit, Asian Center for Human Rights sent the description of this brutal killing to the participating heads of the governments of the member countries. The head of Bangladesh government Dr. Fakhruddin Ahmed should know about the brutal killing of Mr. Cholesh Richil. Since the home ministry and the government as a whole is under his control, it is our expectation that Dr. Fakhruddin Ahmed would take necessary steps to bring those into justice, who committed such a gruesome murder and crime. If he remains silent and indifferent, then there will be enough reasons for people to doubt about his sincerity in terms of establishing human rights and rule of law throughout Bangladesh. Anyone can evaluate him as a man full of words but not full of deeds. He should act because for a few bad people, the principle of the armed forces and the law enforcement agency people of Bangladesh should not be questioned in the whole world. The inertness on Dr. Fakhruddin's part will not enhance the sagging image of his government and the country as a whole.

In the past, while the newsman, Tipu Sultan was beaten by Joynal Hazari’s goons, the newspapers took an active role to protest and raised funds for the victim. Even some of the expatriate Bangalees took very praise-worthy steps to collect funds. It is a mystery for a relative silence of the media and other organizations on the brutal and gruesome murder of Mr. Cholesh Richil. I sincerely hope that Mr. Richil’s ethnicity is not the reason for this deafening silence and indifference on the part of mainstream newspapers. I hope that all will come forward and will raise their strong voice to protest the killing of an innocent man, who was killed so brutally and mercilessly.

Hillary and Others Pressure Fakhruddin

In a recent development, United States presidential candidate HIllary Rodham Clinton and 14 other influential senators have written a letter to Dr. Fakhruddin Ahmed asking him to outline detailed plans for general elections in Bangladesh.

Read the letter: US Senators’s Letter to Fakhruddin and a brief information sheet on all of the 15 senators: US Senators Brief Intros.

Wednesday, May 16, 2007

এবার জামাতী রাজাকাররা কি বলবেন?

(বাংলা আড্ডায় পড়ে দেখুন পাঠকদের প্রতিক্রিয়াসহ)

খবরটা নজর কাড়ল। পাকিস্তানের দ্য নিউজ পত্রিকার আজকের খবর। পড়ে একটু চমকে উঠলাম। এতে পলিটিক্যাল স্ট্যান্টবাজি আছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু তারপরও পাকিস্তান যদি বিষয়টা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে তাহলে এদেশীয় যুদ্ধাপরাধী রাজাকার জামাতীরা কি বলবে? যারা কখনও ভুলেও স্বীকার করে না তাদের একাততরের গণবিরোধী ভূমিকার কথা। গণহত্যার সাথে জড়িত রাজাকার জামাতীরা যুদ্ধাপরাধী। তাদের কোন ক্ষমা নেই। কিন্তু তাদের পাকিস্তানী দোসররা যদি ভূ-রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে স্বীকার করে নেয় যে, তারা একাততরের গণহত্যার জন্য অপরাধী এবং বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, তাহলে কি এদেশীয় রাজাকার জামাতীরা কি তাদের ভুল স্বীকার করবে? চাইবে ক্ষমা তিরিশ লাখ শহীদের কাছে? স্বপ্ন দেখতে পারেন। অসুবিধে নেই। তবে আপাতত পড়ে দেখুন, পাকিস্তানের সিনেট ফরেন রিলেশনস কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর মুশাহিদ হুসেইন সাঈদ কি বলেছেন।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান গণমাধ্যম সম্মেলনে পাকিস্তানী সিনেটর দাবী জানান ১৯৭১-এর গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার কথা। আজকের দ্য নিউজ পত্রিকার খবরে বলা হয়, সিনেটর মুশাহিদ বলেন, "There is nothing to hide on what happened in 1971. What Pakistan did against Bangalis in 1971 can be well dubbed as a crime instead of mistakes. The world is changing over. Japan apologised to China. Pakistan should also come up with an apology" ১৯৭১ সাল নিয়ে পাকিস্তানীদের কাছ থেকে এতোটা স্পস্ট বক্তব্য আগে কখনও আসেনি।

পাকিস্তানীরা ভুল স্বীকার করুক আর ক্ষমা প্রার্থনা করুক, তাতে ইতিহাস বদলাবে না। কিন্তু পাকিস্তানীদের দোসর রাজাকার জামাতীরা কখনও বলবে না, তারা ভুল করেছে। অন্যায় করেছে। বরং তারা এখনও উদ্ধত। এখনও নির্বিকার থাকবে। বিকৃত ইতিহাস শেখাবে নব্য রাজাকারদের। এ নিয়ে আড্ডায় আগেও লিখেছি শিবিরের চোখে স্বাধীনতার ইতিহাস। তাই চলুন আজকে সেসব জামাতী রাজাকার ও ঘাতকদের মুখোশ খুলে দেই।

Monday, May 14, 2007

Should Army be in charge of voter list:

It's an amazing news today that shows how the Army wants to help and control the voter list process. Bangladesh is not a war torn devastated country where Army has to take part in the most election process. Has the civil administration died in Bangladesh? What's Army's interest? They can provide security support but there is no way Army should even get involved in making voter list in Bangladesh. Read this news from Daily Star today:

"The Election Commission (EC) is emphasising the methodology of setting up camps across the country for preparing the voter list with photographs rather than visiting door-to-door.

"I think the task [for preparing the voter list] will be expedited if it is done by setting up camps. We have not yet taken any decision though," Chief Election Commissioner (CEC) ATM Shamsul Huda told reporters yesterday.

Huda was talking to reporters at the EC Secretariat after a daylong meeting with a delegation of Bangladesh Army and EC consultants to find ways for preparing the voter list.

Asked which procedure--visiting door-to-door or setting up camps and urging people to visit those for being listed as voters--is reasonable, the CEC said he prefers the second one.

Huda said the commission is examining different options of preparing voter list and a decision finalising a methodology will be taken today or tomorrow since time is very short and procurement of various equipment will have to be started soon.

There are 69,000 polling stations that have been used during the local government bodies' elections. "We may establish the camps at these polling stations. It will not require spending of time for them," the CEC said.

"We will examine further because whatever we do, we will have to do it carefully," said Huda, who was made the CEC on February 14 following the resignation of controversial CEC MA Aziz.

In the past, the EC has always prepared voter lists by sending its officials on door-to-door visits.

Earlier in July last year, the then EC led by Aziz initiated a procedure to update the voter list by asking people to visit offices of election officials and local government representatives and include or delete their names rather than by sending its officials on door-to-door visit.

However, the EC was compelled to change its stance amid lukewarm response from the people and severe criticism of the procedure. It then decided to send its staffs to visit door to door to update the voter roll.

YESTERDAY'S MEETING
The Bangladesh Army delegation and the EC consultants demonstrated three methodologies for preparing the voter list with photographs--fully digital, optical mark reader (OMR), and traditional, CEC Huda said.

Huda did not specify any time frame required for each option. "It is difficult to specify the time frames for the options as the time can be reduced by increasing the number of teams. If we increase the number to 9,000 instead of 8,000, it will speed up the task," he added.

"We are examining the options. Our main objective is to prepare the voter list with photographs within the 18-month time frame. If possible, we will prepare it before the expiration of the timeframe," said the CEC.

Once the option and methodology is decided, the EC will start procuring a huge number of laptops, cameras and other necessary equipment to start the task.

Meanwhile, about amending the electoral ordinance and rules for preparing the voter list with photographs, Election Commissioner Sahul Hossain said they will be amended in time. Asked if the EC will consider the voter list prepared in 2000 in accordance with a High Court verdict, he said the EC will not consider the existing voter list as a completely new list will be prepared.

At a press conference on April 5, the CEC announced the 18-month time frame for preparing the voter list with photographs for holding the ninth parliamentary election.

On April 12, Chief Adviser Fakhruddin Ahmed declared in an address to the nation that the ninth parliamentary election will be held before the expiration of 2008".

অপূর্ব শর্ম্মা ও আহমেদ নুর এখনও মুক্তি পাননি:

বাংলা ব্লগার ভাস্কর চৌধুরীর সৌজন্যে। নীচের লেখাটা মনে করিয়ে দেয় বর্তমানে তাসনিমের মতো আরও সাংবাদিকরা বিনা বিচারে গ্রেফতার হয়ে আছেন। তাদের ব্যাপারেও আমাদের সোচ্চার হওয়া উচিত। সাংবাদিক অপূর্ব শর্ম্মার ছবি।


অবশেষে তাসনিম খলিল মুক্ত হলেন! কিন্তু তাসনিম খলিলেরমত আজও মুক্তি পাননি সিলেটের আলোচিত দুই নির্ভীক কলম সৈনিক দৈনিক আজকের কাগজের সিলেট ব্যূরো চীফ প্রধান ও দৈনিক যুগভেরীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক অপূর্ব শর্ম্মা ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক (দৈনিক প্রথম আলোর সাবেক সিলেট ব্যূরো চীফ)দৈনিক সিলেট প্রতিদিন এর সম্পাদক আহমেদ নুর ! কিন্তু কেনো তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না ? যদি ও তাদের বিরুদ্বে চাঁদাবাজির মামলা দেখানো হয়েছে কিন্তু আমার প্রশ্ন ওরা কি সত্যি চাঁদাবাজ ? ওদেরকে কি চাঁদাবাজির সময় হাতে নাতে আটক করা হয়েছিল ? দেশে এখনও চলছে নিরব চাঁদাবাজি। কিন্তু প্রকৃত চাঁদাবাজ কয়জন ধরা পরেছে? অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিচার হউক এটা সবাই চায়। যদি ওরা সত্যি চাঁদাবাজ হয়ে থাকে তাহলে তাদের বিচার হোক। এটা আমরাও চাই !

সিলেটের পত্রিকা ও জাতীয় পত্রিকা পড়ে জানতে পারলাম,গত ৭ এপ্রিল রাত ১০ টায় সিলেট শহরের আম্বরখানাস্থ দৈনিক যুগভেরী অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় অপূর্ব শর্ম্মাকে চা খাওয়ার কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয়। একইভাবে দৈনিক সিলেট প্রতিদিন অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় আহমেদ নুরকে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৪ ঘন্টা পর তাদের উপর একটি চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে তাদেরকে থানায় দেয়া হয়।৯ এপ্রিল তাদেরকে সিলেট জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা মুক্তি পাননি। সর্বশেষ খবরে জানতে পারলাম আগামী ১৬ মে অপূর্ব শর্ম্মা ও আহমেদ নুরকে সিলেটের আদালতে তুলা হবে....।

Sunday, May 13, 2007

একটি ডিনার পার্টি ও ক'জন সাংবাদিক:

ব্লগে লেখা চলছে বছর দু'য়েক ধরে। তার মধ্যে একজন পাঠকের সাথে যোগাযোগ প্রায় গত একজন বছর ধরে। নিয়মিত ই-মেইল চালাচালি। তারপর জানলাম, তিনি খবরের জগতের সাথে জড়িত। আমার অনেক বছরের সিনিয়র। আমি নিজে যদিও খবরের দুনিয়া কেউ না তবে খবরগুলো প্রবলভাবে আমাকে নাড়া দেয়। তাই নিয়ে আমার কীবোর্ড সচল হয়। মৌলবাদ, মুক্তিযুদ্ধ, রাজাকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সমাজ-সংসার নিয়ে যেসব ভাবনা আমার মনকে নাড়া দেয় তা-ই আমি তুলে ধরি আমার আড্ডার পাতায়।

আমার এই পাঠক সিনিয়র ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ ভার্চুয়াল। তার লেখা আর এডভোকেসীর আমিও ভক্ত। খবর জানলে আর রসদ থাকলে তিনি পাঠিয়ে দেন। আমার লেখা নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানান। লেখার লিঙ্ক পাঠিয়ে দেন অন্য বন্ধুদের কাছে। চলতে থাকে আমাদের ই-মেইল চালাচালি। গতকাল শনিবার রাতে ছিল তার বাসায় আমার ডিনার পার্টির নিমন্ত্রণ। ব্লগার হিসেবে পরিচয়, সেই সূত্রেই নিমন্ত্রণ। ডিনারে মেন্যু ছিল অনেক। এখন তার ফিরিস্তি দিয়ে অন্যদের হিংসের শিকার হতে চাই না। তবে আমার প্রিয় কাবাব ছিল। ছিল খুব মজার লাউ সেমাই। খাবার পর্ব শেষ হলো।

আমি একমাত্র আমন্ত্রিত অতিথি। তাই চলল বিরামহীন আড্ডা। আসল তাসনিম খলিলের মুক্তি নিয়ে কথা। আসল সংবাদ জগতের কথা। আসল সাহস-ভীরুতা আর গা বাঁচিয়ে চলার কথা। পটভূমির কথা। এলিট, মজদুর, ড্রইংরুম ভিততিক লেখক আর বর্ণচোরাদের কথা। আমি ব্ক্তা ভাল না। কিন্তু শ্রোতা খুবই ভাল। শুনতে থাকি। কিছু বলি না। হাসি। সমমনাদের কথায় তাই হয়তো চায়ের কাপে ঝড় উঠে না। ক্লান্ত হই না।

মাঝে মাঝে ভাবি, বিধাতা আমাকে কেন শুধু দু'টি চোখ আর দু'টি কান দিলেন? আমার চোখ আর কানের বিস্তৃতি যদি বাংলাদেশের আয়তনকে ছেড়ে যেত তাহলে সমস্ত মানুষের দু:খ-কস্ট-যন্ত্রণা শুনে-দেখে আমার হৃদয়ে ধারণ করে নীলকন্ঠ হতাম। নীলকন্ঠ হয়ে উঠা হয় না। সমুদ্রের স্যালাইনিটি বাড়তে থাকে। আমার অক্ষমতা আমাকে পীড়া দেয়। ভর্তসনা শুনতে হয় অন্যদের। মনে হয়, চোখ থাকতে অন্ধ হয়ে আছি। তেলে মাথায় সবাই তেল দেয়। আমিও তার বাইরে না। আর যারা গন্ধ খুঁজে তারা মিটমিট করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। কারণ, এই অক্ষমদের জটলায় আমিও বসে আছি। আমার শত্রু আমার অক্ষমতা, আমার একান্ত মানবিক সীমাবদ্ধতা।

সাংবাদিক তাসনিম মুক্তি পেয়েছেন। আহমেদ নুর পাননি। অপূর্ব শর্ম্মা পাননি। তারাও সাংবাদিক। তারা ঢাকা শহরের না। তারা ব্লগান না। তারা শিরোনাম হন না ব্লগে বা পত্রিকার পাতায়। তাসনিম খলিল শিরোনাম হয়েছেন সিএনএন, ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউন, বিবিসি আরও অনেক পত্রিকা আর ব্লগের পাতায়। অন্য সাংবাদিকরা চোখের আড়ালে, তাই তারা কি আমাদের মনের আড়ালে? দোষ দেওয়া সহজ। লেখা কঠিন। প্রোফাইল তৈরী করা কঠিন। তাই চলুন সচল হোক তাদেরকে নিয়ে সকল ব্লগারদের কীবোর্ড। তাদের প্রোফাইল তৈরী করে ছবি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলার তথ্যগুলো তুলে ধরুন। তাসনিম আমাদের জন্য একটা কাজ সহজ করে দিয়েছেন। যারা তাসনিমের ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছিলেন, সেইসব পশ্চিমা মাধ্যম, মানবাধিকার সংস্থা, সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক গিল্ড আর এলিট ব্লগাররা এখন নীরব থাকবেন কিভাবে?

আমি কথা দিচ্ছি আমার সাধ্যমতো তাদের প্রোফাইলগুলো আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কাছে তুলে ধরার চেস্টা করবো। তার সাথে আশা করি পাব সতীর্থ ব্লগারদের। বাংলাদেশের বুকের উপর হিমালয় পর্বত বসে থাকতে পারে। কথা সত্য ও বাস্তব। কিন্তু হিমালয় পর্বতও হেলে পড়বে যখন সকল সচেতন জনতা ঠেলতে শুরু করবে। কথাটা আমার না। এটা ইতিহাসের দেয়াল লেখনী। অনেকের পড়তে একটু সময় লাগে এই যা!

Saturday, May 12, 2007

Chatra Shibir at Dhaka University

This is an interesting investigative article in Daily Star that has exposed the fundamentalist Islamic Chatra Shibir's underground activity at Dhaka University. Daily Star reports on May 12, 2007, "A group of 13 Dhaka University (DU) students were awakened at dead of night on May 4 in a shabby two-storey building near the Kantaban slope in the capital to swear their allegiance to militant Islamist ideology. With Qur'an in their hands they were forced to utter, "Under no circumstances we will denounce our allegiance to Islami Chhatra Shibir ........ We will wage an armed struggle to establish Islamic law in Bangladesh."

They were sworn in as members of the student front of Jamaat-e-Islami Bangladesh after nearly three weeks of indoctrination, during which they had been forced to study Islamic literature on jihad and shariah, they had also been instructed in how to run a clandestine organisation.

In the second week of April, they were picked from different residential halls of DU by some leaders of Islami Chhatra Shibir (ICS) partly with promises of accommodations in university dorms and partly with dreams of better careers.

Md Abrar Ahmed, a first year student of the history department at DU, is one of those thirteen students who were allured by the assurance of getting an accommodation in Sgt Zahurul Huq Hall.

After his admission into DU, he needed a residential accommodation in Zahurul Huq Hall. ICS leaders of the hall offered him an accommodation in the dorm in exchange for his allegiance to their cause. The Shibir leaders then formed a group of thirteen students and sent them to a mess house near the Kantaban slope, for necessary indoctrination.

The students were Bacchu of the anthropology department, Afzal Hossain of sociology, Asadullah of social welfare, Jashim Uddin of history, Jahirul Islam of Pali, Aminul of world religion, Mahmudur Hasan, Ayatullah and Fayzullah of law, Md Ruhul Amin of philosophy and two other students, said Abrar. Abrar also said all of them already had Shibir backgrounds.


During their stay in the house in Kantaban, they had to attend mandatory daylong classes on militant Islam, on strategies of running clandestine organisational activities, and read Qur'an and Hadith. And at night they had to recap all the lessons they had learnt during the day.

"All day long, we had to stay in the house. Hardly did they allow us to attend our classes at the university," said Abrar adding, "On most days we were awakened at 3:00am and would be forced to perform religious activities."

"After the indoctrination period, you all will have to be Shibir men and then you will get accommodations in your halls," Abrar quoted Abdul Quddus, one of the ICS leaders who sent them to the mess house, as saying.

"We all have good connections with the house tutors and provosts of the halls and without our recommendations none of you will get accommodations in the halls," Abrar quoted Tofazzel Hossain, president of Zahurul Huq Hall unit of ICS, as saying.


The process of indoctrination came into light when Abrar refused to take any benefit at the cost of being indoctrinated in militancy, came out of the mess house and submitted a written statement to the provost of Zahurul Huq Hall in front of a few leaders of some other student organisations.


This is only one example of how students have long been being indoctrinated in militant Islamist ideology in a clandestine manner.

Sources said Shibir activists have been controlling several shops on the street stretching between Kantaban and Nilkhet and carrying out their activities from there.

Shibir activists rent houses around the DU campus and provide lodgings to students who agree to become activists of the organisation. There are more than 50 houses in Shahbagh, Paribagh, Kantaban, Palashi, Nilkhet and the adjoining areas, the sources said.

Armed Shibir activists who have relations with Islamist militants took shelter in those houses, the sources added.

Different intelligence sources said some former Shibir activists and leaders of DU turned cadres of Jamaatul Mujahideen Bangladesh (JMB), a militant Islamist organisation which is currently banned in the country, and they used Shibir activists for militant purposes.

It is also alleged by the intelligence sources that with the help of a faction of Jatiyatabadi Chhatra Dal (JCD), the student front of BNP, and a section of the university administration, Shibir gained strength on the DU campus during the last five years of BNP-Jamaat-led alliance government's rule, and now is operating there clandestinely.

Members of ICS have also managed to occupy high positions in different committees of JCD in the university and in residential hall committees by planting themselves in JCD since they are not allowed by the university administration to operate on the campus under the banner of ICS.

Shibir activists have been advancing with the same strategy in other educational institutions across the country too, and have become successful in establishing their hegemony on university campuses in Rajshahi, Chittagong, Sylhet and Kushtia. They are also trying to establish their supremacy on the campuses of Dhaka Medical Collage Hospital (DMCH) and Bangladesh University of Engineering and Technology (BUET), the sources said.

ICS leaders usually target needy students as they are impressionable, can easily be allured with promises of different types of benefits, and are easy to indoctrinate, the sources added.

The sources also said a section of the DU administration directly helps the ICS leaders in running their clandestine activities.

President of ICS Mirza Ghalib however denied any involvement of his organisation in militant activities.

Friday, May 11, 2007

Update on Tasneem Khalil

Less than 24 hours ago, fellow blogger and human rights activist Tasneem Khalil had been arrested by the Bangladesh army. Read posts from Salam Dhaka about that HERE and HERE. Also Bangla bloggers have a detailed post HERE (or see below) with multiple links included there.

What can you do to help Tasneem?

Please write to the chairman of the Bangladesh Caucus in the US Congress - Congressman Joseph Crowley of New York. Besides that, most of the representatives from Massachusetts, New York and New Jersey are responsive as we have significant numbers of expatriates there. These are Senators John Kerry, Edward Kennedy, Charles Schumer and Hillary Clinton. You may also contact Congressmen Antony Weiner, Gregory Meekes, Yvette Clarke, Gary Ackerman and Peter King. These people are involved with Bangladesh to varying degrees and will be responsive. Please arrange for letters to be sent to these representatives by as many of their constituents as possible, along with follow up phone calls and emails.

Also, have as many people as possible write and call the State Department’s Bangladesh Desk and Bureau of Human Rights and Labor.

Thousands of our activists and leaders arrested, just like Tasneem. And just like Tasneem, many of them are innocent. That is why due process exists, so the innocent are not victimized. That is why an elected government, however flawed it may be, is preferable to an unelected one that never has to face the people in polls and so has no accountability.

Fakhruddin must answer.

Blogger Tasneem Khaleel Picked up by the Army

(Read: Why they arrested Tasnim)

Update 1: Read CNN's Coverage

Update 2: Int. Herald Tribune

Update 3: Free Tasneem-Reaction from Bloggers

As a blogger, I'm concerned about Bangladesh Army's action to arrest Tasneem Khaleel. Please read this breaking news from Salam Dhaka, "Army has picked up a freind, blogger, and human rights activist Tasneem Khalil. We're not going to let this go unanswered. Tasneem's blog is http://www.tasneemkhalil.com/Tasneem is CNN and Human Rights Watch representative in Dhaka. He also works for Daily Star.The U.S State department, CNN, HRW are being contacted through the highest levels".

Bangla Bloggers have already started their protest against this action. Rezwan has just published this breaking news in Bangla Blog. Third World View is maintaing updates on Tasneem Khalil. Another blogger Sushanta is keeping updated posts on Tasneem. Human Rights Watch has already issued a press release to protest Tasneem's arrest and demanded his immediate release.

Please join me along with thousands of bloggers to condemn this cowardly action by the Military.


Read how Tasnim was arrested:
(London, May 11, 2007) – Bangladesh's military-backed care-taker government should immediately release Tasneem Khalil, an investigative journalist and part-time Human Rights Watch consultant, who was detained by security forces late last night, Human Rights Watch said today.

Khalil, 26, is a journalist for the Dhaka-based *Daily Star* newspaper who conducts research for Human Rights Watch. According to his wife, four men in plainclothes who identified themselves as from the "joint task force"came to the door after midnight on May 11 in Dhaka, demanding to take Khalil away. They said they were placing Khalil "under arrest" and taking him to the Sangsad Bhavan army camp, outside the parliament building in Dhaka.

"We are extremely concerned about Tasneem Khalil's safety," said Brad Adams, Asia director at Human Rights Watch. "He has been a prominent voice in Bangladesh for human rights and the rule of law, and has been threatened because of that."

The men did not offer a warrant or any charges, Khalil's wife said. Using threatening language, they searched the house and confiscated Khalil's passport, two computers, documents, and two mobile phones. "It is an emergency; we can arrest anyone," one of the men said. Another asked if Khalil suffered from any particular physical ailments. They drove Khalil off in a Pajero jeep.

Khalil is a noted investigative journalist who has published several controversial exposes of official corruption and abuse, particularly by security forces. He assisted Human Rights Watch in research for a 2006 report about torture and extrajudicial killings by Bangladesh security forces.

Monday, May 7, 2007

দেশে ফিরতে আমার ভয় কিসের?


সৌজন্যে: থাডর্ আই
আমি জাতির জনকের মেয়ে বাংলাদেশে ফিরে যেতে আমার কোন ভয় নেই বলে মন্তব্য করেন আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরো বলেন আমার সাথে আল্লাহ আছেন, সেই সাথে রয়েছে আমার বড় শক্তি দেশের জনগন। তাই আমি কোন ভয়ে ভীত নই ।

ঢাকার উদ্দেশ্যে হিথ্রো বিমান বন্দর ত্যাগ করার প্রাক্কালে আওয়ামী সভানেত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন। গত ২৩ এপ্রিল ব্রিটিশ এয়ার ওয়েজ কত্বৃক শেখ হাসিনাকে বোর্ডিং পাস না দেয়ায় ফিরে যান শেখ হাসিনা। তবে এবার তার সফর সঙ্গী হচ্ছেন বেশ কিছু নেতা কর্মী। যুক্তরাষ্ট্র, আমিরারত , হল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের প্রায় ২০ জন নেতা কর্মী আওয়ামী সভানেত্রীর সফর সঙ্গী হচেছন।

দেশের এই জরুরী অবস্থা এবং ঘরোয়া রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও কেন এত নেতা কর্মী নিয়ে দেশে যাচ্ছেন প্রথম আলোর এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন নেতা কর্মীরা তাদের নিজের দেশে যাচ্ছে এতে দোষের কি আছে ?

সুত্র জানিয়েছে বিমান বন্দরে শেখ হাসিনাকে ভিভিআইপি মর্যাদা নিশ্চিত করা এবং ইত্তিহাদ এয়ার ওয়েজের বোডিংপাসের ব্যপারে অনেক আগেথেকেই প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিলো। শেষ বারের মতো বিদায় জানাতে অসংখ্য নেতা কর্মী বিমান বন্দরে ভির জমান। বিদায় মূহুর্তে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা ও তার ছেলে এবং কন্য টিউলিপ বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন। ৭ মে বাংলদেশ সময় বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিটে শেখ হাসিনা ঢাকা অবতরন করবেন।

Saturday, May 5, 2007

বৃটিশ এয়ারওয়েজ ও শেখ হাসিনা:

হিথ্রো বিমান বন্দরে শেথ হাসিনাকে বোর্ডিং পাস না দেয়ায়
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে ১ মিলিয়ন পাউন্ডেন লিগ্যাল নোটিশ।
তানভীর আহমেদ।

শেখ হাসিনাকে হিথ্রো বিমান বন্দরে বোডিং পাস না দেয়ায় ব্রটিশ এয়ার ওয়েজের বিরুদ্ধে ১ মিলিয়ন পাউন্ডের লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনা। মামলার প্রধান কৌশলী সুপ্রীম কোর্টের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন মালিক ব্রিটিশ এয়ার ওয়েজের ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের বরাবর এই নোটিশ পাঠান। শুক্রবার লন্ডন সময় বিকাল ৬ টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান ব্যরিস্টার শামসুদ্দীন মানিক। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আনিসুর রহমান, সলিসিটর মাইকেল রিজেন সহ ইউকে লিগ্যাল একশন কমিটির নেতৃবৃন্দ।

গত ২৩ এপ্রিল ঢাকা গামী ব্রিটিশ এয়ার ওয়েজের ফাইটে শেখ হাসিনাকে বোডিং পাস না দেয়ার পর কয়েক জন বৃটিশ এমপি শেখ হাসিনাকে বৃটিশ এয়ার ওয়েজের বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দেন বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।

গত তেইশ তারিখে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফেসিলিটি বিভাগের মিস্টার ফস্টার কতৃক স্বারিত এক চিঠিতে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দীকের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে লিখা হয় , বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কতৃক গত ১৮ এপ্রিল প্রাপ্ত চিঠিতে শেখ হাসিনাকে বহনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ।তাই তারা শেখ হাসিনাকে বোডিং পাস দিতে পারবেনা। বৃটিশ এয়ার ওয়েজের চু্িক্ত আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী যদি কোন দেশের ইমিগ্রেশন কতৃক কোন যাত্রীর উপর ভ্রমনের নিষেধাজ্ঞা থাকে তাহলে কতৃপ সে যাত্রীকে বহন করতে বাধ্য নয়।

মামলার মূল কৌশলী মনে করেন, যেহেতু বাংলাদেশ সরকারের ইমিগ্রেশন হতে বৃটিশ এয়ার ওয়েজকে কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি তাই শেখ হাসিনার বোডিং পাস না দেয়া সম্পূর্ণ অবৈধ। শেখ হাসিনার বাংলাদেশে প্রবেশের ব্যপারে বাধা দেয়ার কোন এক্তিয়ার সিভিল এভিয়েশনের নেই। অন্য দিকে মামলার আইনজীবীরা বলছেন সেকশন ৭ টি নিজ দেশের যাত্রীদের বেলায় প্রযোজ্য হবেনা। কেননা শেখ হাসিনা তার নিজের দেশেই ফিরছিলেন। নিজ দেশের নাগরিককে রাইট টু রিফিউজ করা যায় না ।

কিসের ভিত্তিতে এক মিলিয়ন পাউন্ড তি পূরন নিধারন করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে মামলার আইজীবি প্রথম আলোকে জানান যথা সময়ে শেথ হাসিনা দেশে ফিরতে না পারায় আদালত তাকে পলাতক আসামী দেখিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছে এতে করে তার মান হানি ঘটেছে। এবং যেহেতু শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্র প্রধান এবং ভিভিআইপি তাই তার মর্যাদা ুন্ন হয়েছে। বাংলাদেশের এখন নির্বাচনের প্রাক্কালে বিরোধী প্রতিপ মামলার বাদীর এই গ্রেফতারের বিষয়টিকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করায় শেখ হাসিনা তির স্বীকার হয়েছেন।
অন্যদিকে এই অহেতুক হয়রানীর ফলে তাকে নিজ খরচে হোটেলে থেকে যাবতীয় নিজস্ব ব্যয় মেটাতে হয়েছে।

এদিকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে যাবার শেষ মূহ্ূর্তে যুক্তরাজ্যের নেতা কর্মীদের সাথে শেষ বারের মতো স্বাত করতে য্ক্তুরাজ্য আওয়ামীলীগের কর্মাশিয়াল রোডের কার্যলয়ে পৃথক পৃথক সভায় মিলিত হন। যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগ , মহিলালীগ সহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতা কর্মীরা এসময় শেখ হাসিনার সাথে মত বিনিময় করেন।

পরে শেখ হাসিনা লিভারপুল স্ট্রিটের দিলশাদ রেসটুরেন্টে বিলেতের বাংলা ও মূল ধারার সাংবাদিকেদের সম্মানে দেয়া ণৈশ ভোজে যোগদেন। পরে সাংবাদিকদের ভিভিন্ন পেেশ্নর জবাব দেন আওয়ামী সভানেত্রী। ডঃ ইউনুসের রাজনীতি হতে সরে আসা নিয়ে প্রথম আলোর প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন , তিনি রাজনীতি করবেন কি করবেন না এটি তার ব্যক্তিগত ব্যপার, তবে তার রাজনীতি হতে সরে আসা এটিই প্রমান করছে গন বিচিছন্ন মানুষ কখনো রাজনীতিতে সফল হয়ন। রাজনীতিতে সংস্কার প্রশ্নে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনূল হোসেনের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ব্যরিস্টার মইনূল দৈনিক ইত্তেফাকের মালিকানা পেয়েছেন পারিবারিকভাবে তিনি তার মূখে রাজনীতির পারিবারিক তন্তের সংস্কার শোভা পায়না।

রবিবার সকাল ৯টায় প্রায় ৩০ জন নেতা কর্মী ও বিপুল সংখ্যক বিদেশী মিডিয়ানিয়ে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। দলীয়সুত্রে জানা গেছে ইত্তিহাদ এয়ার ওয়েজের ফাইটটি ঢাকা পৌছাবে বাংলাদেশ সময় বিকেল তিনটা।

Friday, May 4, 2007

ভাগ্যিস কবি নির্মলেন্দু নোবেল পাননি:

(আড্ডায় প্রকাশিত মে ২, ২০০৭)
একটু আগে চ্যানেল ওয়ানের নিউজটা দেখে ভাবছিলাম, ভাগ্যিস কবি নির্মলেন্দু গুণ নোবেল পাননি। অ্যাডের কয়টা টাকা পেয়ে দ্রুত কর বিভাগে গিয়েছিলেন কর দিতে। কর বিভাগ কবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে কর মাফ করে দিয়েছেন। ঘটনাটা মনে পড়ল ড: ইউনূসের ব্যাপার নিয়ে। কবি নির্মলেন্দু গুণ কে নিয়ে এ ব্যাপারে একটা পোস্ট আগে দিয়েছি। ঘটনাটা ক'দিন আগেই ঘটল। আর তার ক'দিন পরেই ড: ইউনূসের ঘটনাটা।

কিন্তু ব্যাপার সেটা না। ড: ইউনূস নোবেল প্রাইজের টাকার কর মওকুফ করার জন্য কর বিভাগকে চিঠি পাঠিয়েছেন। খবরটা এসেছে চ্যানেল ওয়ানে। তাই, ভাবছিলাম, কবি নির্মলেন্দু গুণ নোবেল পেলে কি সর্বনাশ হতো!!! পুরো টাকাই দিয়ে আসতেন কর বিভাগকে। বিধাতার নিয়মগুলো খুব বিচিত্র। যার আছে সে আরও চায়। যার নেই, সে সবটুকু বিলিয়ে দিতে চায়। রাজনীতির কথা না। নোবেল প্রাইজের বিরল সম্মানকে খাটো করতে চাই না। শুধু একটা প্রশ্ন, ড: ইউনূসের মতো বিখ্যাত মানুষদের কতো টাকা দরকার? আর পাঁচজনের মতো তিনি কর দিয়ে দৃস্টান্ত দিতে পারতেন। তারপর যদি সরকার ও দেশের জনগণ তাকে সম্মান দেখিয়ে কর মাফ করার আবেদন জানাত তাহলে তার কি খুব ক্ষতি হতো?

পাশাপাশি দু'টো খবর দেখে চমকে উঠার মতো। এ জগতে যার আছে, তার চাওয়ার শেষ নেই। যাদের নেই, তাদের অভিযোগ খুব কম। ভাগ্যিস, কবি নির্মলেন্দ গুণ নোবেল পাননি, পেলে কর দিয়ে কি তিনিও সব নি:শেষ করতেন? কে জানে?

Thursday, May 3, 2007

একজন জননীর জন্যে-


''পঞ্চাশের দশকে আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, জাহানারা ইমাম তখন ঢাকা শহরের সুচিত্রা সেন। ''
আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ এমন করেই তাঁর স্মৃতিচারণে জানিয়েছেন, জাহানারা ইমামকে প্রথম দেখে তিনি চমকে উঠে ভেবেছিলেন কোলকাতা থেকে এত দূরে, ঢাকায়, কি করে অবিকল একই রকম একজন সুচিত্রা সেন থাকতে পারে, যিনি পর্দার অলীক নায়িকা নন, বাস্তব মানুষ!
'৯৪ এ লেখা এই প্রবন্ধটি প্রায় এক যুগ বাদে প্রথমবারের মত পড়বার সময় আমি নিজেও চমকে উঠেছিলাম! বস্তুত, জাহানারা ইমামকে শহীদ জননী হিসেবেই জানি, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির প্রধান হিসেবে জানি- তিনি একজন সাধারণ মানবী নন, একজন অতিমানবী। ঠিক এরকম ভাবনাগুলোর সাথে সুচিত্রা সেন-এর ছবিটা মিলছিল না, সে কারণেই যখন তাঁরই সমবয়েসী ও সমকালীন সায়ীদ স্যারের লেখায় জানলাম, তৎকালীন যুব সমাজের কাছে তিনি ছিলেন ঢাকা শহরের সুচিত্রা সেন, এই প্রথমবারের মত অনেক কাঠিন্যের পেছনে তাঁর মানবী রূপটিও যেন সহসাই চোখে পড়লো।
অনেক রকমের স্মৃতিচারণের মাঝে এই নতুনত্বটুকু বেশ উপভোগ্য লাগলো।
----------------

এইট বা নাইনে পড়ি, কলেজ লাইব্রেরীর বাংলা বইয়ের শেলফের কোন এক কোনায় একটা বই সবসময়ে চোখে পড়তো, ক্যান্সারের সাথে বসবাস। লেখক- জাহানারা ইমাম। কখনো পড়িনি, পড়বার আগ্রহও বোধ করি নি, বরং ফেলুদার কীর্তিকলাপ বেশ কয়েকবার রিভিশান দেয়াতেই আগ্রহ ছিল বেশি। সেসময়েই একবার মুহম্মদ জাফর ইকবালের কোন একটা লেখায় জাহানারা ইমামের কথা পড়লাম, সহজ সরল জলের মতন ভাষায় জাফর ইকবাল কি লিখেছিলেন মনে নেই, তবে সেটা পড়ে চোখ ভিজে গিয়েছিল মনে আছে। পরের লাইব্রেরী ক্লাসেই ইস্যু করি ক্যান্সারের সাথে বসবাস। তারপরের সপ্তাহে- একাত্তরের দিনগুলি। এবং মন্ত্রমুগ্ধের মতন পড়ে যাই। একবার নয়, বেশ কয়েকবার। ফেলুদার বদলে রুমি-জামিই আমার খুব কাছের মানুষ হয়ে গিয়েছিল তখন। প্রায় চেনা ভঙ্গিতে এমন সুন্দরভাবে লিখেছেন তিনি, যেন তাঁকে সঙ্গী করেই সকল আনন্দ বেদনা অনুভব করতে করতে '৭১ এর ঢাকার রাস্তায় ঘুরে বেড়ালাম বেশ কয়েকটা দিন।

তারপর, ক্রমশ বড় হই, বড় হতে হতে এই ভীষন বড় মানুষটার কথা যখন আরো বেশি করে জানতে পারি, শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে যাই।

--------------
আজ শ্রদ্ধেয় জাহানারা ইমামের জন্মদিন। কাছের মানুষেরা তাঁকে আম্মা বলে ডাকে। অথবা কে জানে, আম্মা ডেকেই হয়ত সবাই তাঁর খুব কাছের মানুষ হয়ে যায়!

জন্মদিনের দিন মৃত্যুর কথা বলতে নেই। তবু যে মানুষটা চলে গেছেন, তাঁর জন্মদিনেও যেন তাঁকে হারাবার বেদনাটাই বেশি করে বুকে বেজে ওঠে।
ঢাকার রাস্তায় যখন জাহানারা ইমামকে কালো কফিনে শুইয়ে বিদায় জানানো হচ্ছিল, সেই কফিনবাহী লাশের পাশ দিয়ে যেতে যেতে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের কথাটুকু দিয়েই শেষ করি বরং-
" একটা ভারী কষ্ট গলা অব্দি উঠে এসে বুক চেপে বসে রইল। আমার চোখ ছাপিয়ে পানি টলমল করে উঠল, কিন্তু মাটিতে পড়লো না। আমরা এখন আর কাঁদি না। বয়সের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জেনেছি, যে দুঃখের অশ্রু একবার মাটিতে ঝরে, সে দুঃখকে মানুষ হারিয়ে ফেলে।''
-------------

আপনার জন্যে বুকের গভীর থেকে উঠে আসা ভালবাসা জানাই শহীদ জননী। কখনো কোন মানুষের জন্যে যদি অমরত্ব প্রার্থনা করার সুযোগ পেতাম, নিঃসন্দেহে সেটা আপনিই হতেন।


The Legacy of Jahanara Imam


A Nation Awakened - The Legacy of Jahanara Imam
Jamal Hasan





(Credit: Virtual Bangladesh)

Jahanara Imam, we'll never forget you, nor shall we forget the year, 1971, when Bangladesh waded her way to independence across the swift currents of a river of blood. Sinister forces were acting against the birth of our nation - few could equal the zeal with which traitors had taken to selling their souls to their imperial masters. They were so eager to keep us enslaved for the next millennium that they went ahead with their diabolical scheme to annihilate the intelligentsia of our motherland through mass killings. And that is why every conscientious citizen of Bangladesh felt so let down and humiliated when the Father of the Nation, just freed from a Pakistani prison, granted general amnesty to these criminals.

I was in Tangail, in prison like environment, during the nine months of the war of liberation in 1971. During those days, I had a premonition that even if we achieve independence, we will not be able to keep alive the spirit that had spurred us to freedom. I was painfully aware of our proclivity to ignore the lessons of history. I would often fret about the future of independent Bangladesh during those fateful months. I was cut to the quick, but not quite surprised, when Bangabandhu announced general amnesty for the despicable Razakars.

We had a moral obligation to bring the killers and rapists of 1971 to justice, not only to uphold the dignity of our ravaged nation but also to gain recognition for the enormous sacrifices that we had been forced to make on our road to freedom. Bangabandhu's general amnesty came in the way. To add insult to the injury, the unthinkable happened - the military surreptitiously ushered the anti independence forces into the corridors of power through the back door. Ironically, it was a freedom fighter, General Zia, who dealt a devastating blow against the very spirit that had led us on the path to freedom.

I used to be in constant pain over a question - if the pro-Pakistani forces were indeed destined to come to power in independent Bangladesh, what purpose did it serve to sacrifice three million lives during the war of liberation? Did Munir Choudhury, Dr. Alim Choudhury, Altaf Mahmud, Mofazzal Haider Choudhury and the countless Rumis of our country become martyrs over a worthless cause? Wouldn't it have been a lot less painful if we had negotiated for a confederation instead?

But after all is said and done, it remains a fact that the three million martyrs of the war of liberation have left an indelible mark on history. It is vital to bring the mass murderers of 1971 to justice not only to uphold the dignity of our nation but to regain our self esteem as well. And it is just as important for the Pakistan government to accept full responsibility for the despicable crimes and to tender public apology. Half a century after World War II, it wasn't too late for Japan's Emperor to publicly apologize for the crimes against the Korean people. Need we say more to persuade Pakistani authorities to do the needful?

The constant erosion of the spirit of liberation in post-independence Bangladesh had left me without hope. When Zia was in power, I wrote an article in the Bangladeshi weekly, Holiday, to give vent to my despondency. The main thesis of the article miraculously survived the ruthless editing of the pro- Chinese editor. Four years later I immigrated to the United States. Since then I have endeavored hard to remind fellow Bengalis of the spirit of '71 and of the days of blood and fire. In addition to writing in the ethnic press, I have personally contacted many intellectuals and politicians to create a general awareness of the unspeakable crimes of 1971. Among them are Nobel Laureate Elie Wiesel and Professor Stanley Wolpert. I have also been encouraging a few people to work toward a Congressional hearing on the mass killings in Bangladesh.

The publication of Jahanara Imam's "Ekattorer Dinguli" ( Those Days of 1971) was a seminal event in the history of Bangladesh. It proved to be a catalyst for the renewal of faith in our destiny as an independent nation. The publication was a diary she had maintained during the war of liberation that claimed the lives of her husband and son. Jahanara Imam had watched the war from a point of vantage and had paid very dearly for the privilege. Her diary, like that of Anne Frank, was the personal account of a tragedy whose true magnitude might never be fully fathomed by those that did not experience it first hand. "Ekattorer Dinguli" electrified Bangladesh as no other book ever had.

All of a sudden, I came to hear of Jahanara Imam's crusade against the mass murderers and their agents. She earned my respect through her ability to rise above petty politics even as she struggled to bring the criminals to justice. Three years ago, when Awami League leader Abdur Razzak came to visit Florida, I reminded him of our duty to pursue the criminals relentlessly. I am happy that, today, he is a key man in the committee that is crusading to avenge the crimes.

Last year, my friend, Dr. Zafar Iqbal, introduced me to Jahanara Imam's surviving son, Jami. And it wasn't long after that I finally established contact with Jahanara Imam, herself. I sent her copies of all my writings and informed her of my efforts toward a Congressional hearing on the genocide in Bangladesh. I congratulated her for bringing in a new tide of hope in the moribund politics of our mother land. I told her of my wish to take active part in the movement she was leading. She was happy to learn that I had taken it upon myself to send Nobel Laureate Elie Wiesel a copy of the English translation of her "Ekattorer Dinguli". I managed to convince her that the proposed Congressional hearing would go a long way toward bringing the criminals to justice. I introduced her to the articles of Khaleda Islam who has been writing tirelessly for the last ten years of our inhuman ordeal in 1971. Ms. Khaleda Islam has been relentlessly demanding the trial of the Pakistani war criminals in various Bangladeshi, Indian and even Pakistani publications in U.S.A.

Jahanara Imam is no longer with us. She arrived in the political arena like a meteor and gave a new lease of life to a people who had been stagnating for quite a while and had lost their self esteem in the bargain. We will not forget Jahanara Imam's contribution to the awakening of our nation. Thanks to her, Bangladesh has been born again! The trial of the criminals will be the culmination of the movement that she had led so courageously till her death. Bangladesh will regain her dignity in the comity of nations as the criminals are made to answer for their deeds in a court of law. Jahanara Imam, we'll never forget you. You'll remain enshrined for ever in the collective consciousness of our nation.

Tuesday, May 1, 2007

Breaking News: Bombing in Bangladesh

We've just heard a breaking news in Bangla blog that there have been a series of bomb attacks in the railway stations in Bangladesh. I've found BD News Bangla section serving this information. We're monitoring this breaking news. I hope, the Authority will take drastic measures against the fundamentalist groups.

Right now it's 11:30 am in Bangladesh. BD News Bangla edition is reporting that simultaneous bomb attack took place in Dhaka, Chittagong and Syhet. So far, 1 person is wounded. Today is 1st May, Inernational Labor Day holiday in Bangladesh. It could be murch worse if it happened on a weekday. But this is a very bad sign that terrorist groups like JMB are regrouping. Waiting for more info.

ধর্ম নিয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ:

(একই সাথে আড্ডার পাতায় প্রকাশিত)
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। ধর্মের অপব্যবহার নিষিদ্ধ হোক। এগুলো কোন শ্লোগান নয়। ধর্ম নিয়ে অপকর্ম নতুন নয়। রাজনীতি আর দলীয় স্বার্থে ধর্মের ব্যবহারও নতুন নয়। আড্ডার পাতায় অসংখ্য বার লিখেছি কেন ধর্মভিততিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত। ধর্মের মধ্যে রাজনীতির আবিস্কার ধর্ম ব্যবসায়ীদের এক নতুন হাতিয়ার। ইসলাম এধরনের ধর্ম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধার্মিকদের বিশ্বাসকে রক্ষা করার আহবান জানিয়েছে।

বাংলাদেশে ধর্মের নামে কি পরিমাণ অপকর্ম হয়েছে তা নতুন করে বলার দরকার নেই। এই উপমহাদেশে ১৯৪১ সালের ২৬শে আগস্ট ধর্মভিততিক রাজনৈতিক দল জামাতে ইসলামীর গঠন হয়। তারপর থেকেই এরা ধর্মান্ধতার মাধ্যমে মুসলামানদের বিশ্বাসকে কলুষিত করেছে। জামাত জন্মলগ্ন থেকেই বৃটিশদের পদলেহন করেছে। বলেছে বৃটিশরা এই উপমহাদেশের শত্রু নয়। এই উপমহাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে দালালির ইতিহাস এভাবেই জামাতীরা শুরু করে। ইতিহাস সাক্ষী দিবে জামাতীদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশী।

জামাতের ডিগবাজীর ইতিহাস আরও চমকপ্রদ। ১৯৬১ সালে জামাতের গুরু মওদুদীর ফতোয়া ছিল নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। ফাতেমা জিন্নাহকে রাস্ট্রপ্রধান করলে জামাতীদের ইসলাম বরবাদ হয়ে যাবে। সেই সময় মওদুদীর লেখা "বিংশ শতাব্দীতে ইসলাম" নামের পুস্তিকায় নারীদের রাস্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলে, "রাজনীতি, দেশের প্রশাসন ব্যবস্থাপনা ও সামরিক খিদমত এবং এ ধরণের অন্যান্য কাজ পুরুষের। চোখ বন্ধ করে অন্যদের অজ্ঞতার অনুকরণ করা জ্ঞানের পরিচায়ক নয়। ইসলাম নীতিগতভাবে যৌথ সমাজ ব্যবস্থার বিরোধী। পাশ্চাত্য দেশগুলোতে এর অত্যন্ত খারাপ পরিণাম দেখা দিয়েছে। আমাদের দেশের জনসাধারণও যদি তা ভোগ করার জন্য তৈরী হয়ে থাকে, তবে তা যত ইচ্ছে করতে পারে..."। এভাবে ফাতেমা জিন্নাহর রাস্ট্রপ্রধান পদ গ্রহণ করার বিরোধিতা করে ১৯৬৪ সালে ফাতেমা জিন্নাহর সাথে মোর্চা গঠন করে। সাথে সাথে ঘোষণা দেয়, মিস জিন্নাহর নেতৃত্বে ভোট না দিলে পাপ হবে। ১৯৬৪ সালের ১১ই অক্টোবর সাপ্তাহিক শেহাব পত্রিকায় মওদুদী তার ফতোয়া উল্টিয়ে বলেন, "মোহতারেমা ফাতেমা জিন্নাহকে নির্বাচন করায় এছাড়া কোন অসুবিধা নেই যে, তিনি একজন মহিলা। এদিক ছাড়া আর সব গুণাবলীই তার মধ্যে রয়েছে যা একজন যোগ্য রাস্ট্রপ্রধান প্রার্থীর জন্য বলা হয়েছে"। আর বাংলাদেশে বিএনপি জামাত জোট তো নারী নেতৃত্বকে স্বীকার করেই মোর্চা গঠন করে। এই হচ্ছে জামাতীদের রাজনৈতিক ইসলামের আসল চেহারা।

এই হচ্ছে জামাতীদের ইতিহাস। ক্ষমতার রুটির জন্য এরা নিজেদের স্বরচিত আদর্শ গ্রহণ ও ত্যাগ করার বাণিজ্য চালায়। তাই ধর্মের নামে এরা পড়ে নানান মুখোশ। বিভ্রান্ত করতে চায় মুসলিম উম্মাহকে। বিভক্ত করে মুসলমানদের। অস্ত্র তোলে, ভয় আর ভীতি দেখায়। প্রলোভন দেখায়। মধ্যপ্রাচ্যের তেলের বদান্যতায় শুরু হয় জামাতীদের পঁচাততর পরবর্তী যাত্রা। তারপর থেকেই ব্যাংক, হাসপাতাল, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, সমাজ সেবা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার দিয়ে জামাত-শিবির তাদের প্রভাব বলয় তৈরী করেছে।

চট্রগ্রাম আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের দৌরাততের কথা কারও অজানা নেই। ধর্মভিততিক রাজনীতি যে কতোটা বিষাক্ত তা তুরস্ক, আলজেরিয়া আর আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক কালে প্রমানিত হয়েছে। আর আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে জামাতীদের হত্যাযজ্ঞের কথা কখনও ভুলব না। তাই প্রতিহত করতে হবে জামাতীদের সর্বত্র। যারা জামাতীদের তোষামোদ করেছে, প্রশ্রয় দিয়েছে, আশ্রয় দিয়েছে তাদেরকেও চিন্হিত করে প্রতিহত করতে হবে। ধর্মের নামে অপকর্ম মানবতার সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ নিতে এগোতে হবে নতুন প্রজন্মকে।