Saturday, May 5, 2007

বৃটিশ এয়ারওয়েজ ও শেখ হাসিনা:

হিথ্রো বিমান বন্দরে শেথ হাসিনাকে বোর্ডিং পাস না দেয়ায়
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে ১ মিলিয়ন পাউন্ডেন লিগ্যাল নোটিশ।
তানভীর আহমেদ।

শেখ হাসিনাকে হিথ্রো বিমান বন্দরে বোডিং পাস না দেয়ায় ব্রটিশ এয়ার ওয়েজের বিরুদ্ধে ১ মিলিয়ন পাউন্ডের লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনা। মামলার প্রধান কৌশলী সুপ্রীম কোর্টের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন মালিক ব্রিটিশ এয়ার ওয়েজের ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের বরাবর এই নোটিশ পাঠান। শুক্রবার লন্ডন সময় বিকাল ৬ টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান ব্যরিস্টার শামসুদ্দীন মানিক। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আনিসুর রহমান, সলিসিটর মাইকেল রিজেন সহ ইউকে লিগ্যাল একশন কমিটির নেতৃবৃন্দ।

গত ২৩ এপ্রিল ঢাকা গামী ব্রিটিশ এয়ার ওয়েজের ফাইটে শেখ হাসিনাকে বোডিং পাস না দেয়ার পর কয়েক জন বৃটিশ এমপি শেখ হাসিনাকে বৃটিশ এয়ার ওয়েজের বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দেন বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।

গত তেইশ তারিখে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফেসিলিটি বিভাগের মিস্টার ফস্টার কতৃক স্বারিত এক চিঠিতে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দীকের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে লিখা হয় , বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কতৃক গত ১৮ এপ্রিল প্রাপ্ত চিঠিতে শেখ হাসিনাকে বহনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ।তাই তারা শেখ হাসিনাকে বোডিং পাস দিতে পারবেনা। বৃটিশ এয়ার ওয়েজের চু্িক্ত আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী যদি কোন দেশের ইমিগ্রেশন কতৃক কোন যাত্রীর উপর ভ্রমনের নিষেধাজ্ঞা থাকে তাহলে কতৃপ সে যাত্রীকে বহন করতে বাধ্য নয়।

মামলার মূল কৌশলী মনে করেন, যেহেতু বাংলাদেশ সরকারের ইমিগ্রেশন হতে বৃটিশ এয়ার ওয়েজকে কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি তাই শেখ হাসিনার বোডিং পাস না দেয়া সম্পূর্ণ অবৈধ। শেখ হাসিনার বাংলাদেশে প্রবেশের ব্যপারে বাধা দেয়ার কোন এক্তিয়ার সিভিল এভিয়েশনের নেই। অন্য দিকে মামলার আইনজীবীরা বলছেন সেকশন ৭ টি নিজ দেশের যাত্রীদের বেলায় প্রযোজ্য হবেনা। কেননা শেখ হাসিনা তার নিজের দেশেই ফিরছিলেন। নিজ দেশের নাগরিককে রাইট টু রিফিউজ করা যায় না ।

কিসের ভিত্তিতে এক মিলিয়ন পাউন্ড তি পূরন নিধারন করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে মামলার আইজীবি প্রথম আলোকে জানান যথা সময়ে শেথ হাসিনা দেশে ফিরতে না পারায় আদালত তাকে পলাতক আসামী দেখিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছে এতে করে তার মান হানি ঘটেছে। এবং যেহেতু শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্র প্রধান এবং ভিভিআইপি তাই তার মর্যাদা ুন্ন হয়েছে। বাংলাদেশের এখন নির্বাচনের প্রাক্কালে বিরোধী প্রতিপ মামলার বাদীর এই গ্রেফতারের বিষয়টিকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করায় শেখ হাসিনা তির স্বীকার হয়েছেন।
অন্যদিকে এই অহেতুক হয়রানীর ফলে তাকে নিজ খরচে হোটেলে থেকে যাবতীয় নিজস্ব ব্যয় মেটাতে হয়েছে।

এদিকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে যাবার শেষ মূহ্ূর্তে যুক্তরাজ্যের নেতা কর্মীদের সাথে শেষ বারের মতো স্বাত করতে য্ক্তুরাজ্য আওয়ামীলীগের কর্মাশিয়াল রোডের কার্যলয়ে পৃথক পৃথক সভায় মিলিত হন। যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগ , মহিলালীগ সহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতা কর্মীরা এসময় শেখ হাসিনার সাথে মত বিনিময় করেন।

পরে শেখ হাসিনা লিভারপুল স্ট্রিটের দিলশাদ রেসটুরেন্টে বিলেতের বাংলা ও মূল ধারার সাংবাদিকেদের সম্মানে দেয়া ণৈশ ভোজে যোগদেন। পরে সাংবাদিকদের ভিভিন্ন পেেশ্নর জবাব দেন আওয়ামী সভানেত্রী। ডঃ ইউনুসের রাজনীতি হতে সরে আসা নিয়ে প্রথম আলোর প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন , তিনি রাজনীতি করবেন কি করবেন না এটি তার ব্যক্তিগত ব্যপার, তবে তার রাজনীতি হতে সরে আসা এটিই প্রমান করছে গন বিচিছন্ন মানুষ কখনো রাজনীতিতে সফল হয়ন। রাজনীতিতে সংস্কার প্রশ্নে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনূল হোসেনের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ব্যরিস্টার মইনূল দৈনিক ইত্তেফাকের মালিকানা পেয়েছেন পারিবারিকভাবে তিনি তার মূখে রাজনীতির পারিবারিক তন্তের সংস্কার শোভা পায়না।

রবিবার সকাল ৯টায় প্রায় ৩০ জন নেতা কর্মী ও বিপুল সংখ্যক বিদেশী মিডিয়ানিয়ে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। দলীয়সুত্রে জানা গেছে ইত্তিহাদ এয়ার ওয়েজের ফাইটটি ঢাকা পৌছাবে বাংলাদেশ সময় বিকেল তিনটা।

No comments: