Monday, April 16, 2007

ইউজিসিতে আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী?


আজকের নয়া দিগন্তে খবরটা দেখে একটুও চমকে উঠিনি। বাংলাদেশে আমাদের স্মৃতিশক্তি সত্যি দুর্বল। না হলে ২০০২ সালের ২৩ জুলাইয়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার দায়ভারে অভিযুক্ত অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরী কমিশনের (ইউজিসি)চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহকে ২৩শে জুলাইয়ের ঘটনার দায়ভার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়। কিন্তু তারপরও শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তদানীন্তন জাতীয়তাবাদী সরকার তাকে বাহরাইনে রাস্ট্রদূতের পদ দিয়ে পুরস্কৃত করে। ২৩শে জুলাইয়ের সেই কলংকময় দিনে পুলিশ মেয়েদের হলে ঢুকে নির্বিচারে লাঠি চার্জ করে শতাধিক ছাত্রীকে আহত করে। বিগত জাতীয়তাবাদী সরকার বিচারপতি তাফাজ্জুল ইসলামের ৫০০ পাতার তদন্ত রিপোর্টের কোন সুপারিশ আমলে নেয়নি। হয়নি কোন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি। ক্যাম্পাস কাঁপানো সেই আট দিনের ছাএছাত্রীদের বিক্ষোভের কথা মনে না থাকলে আবারও ২০০২ সালের আগস্টের ২ তারিখে হলিডেতে উঠা প্রতিবেদনটি পড়ে নিতে পারেন


জুলাইয়ের ২৩ তারিখের সেই ন্যক্কারজনক ছাত্রী নির্যাতনের কথা ভুলে গিয়ে তখনকার তল্পীবাহক ভিসি আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরীকে এখন আবারও বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়ার খবরেরর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া আজকের খবরে বলা হয়, ড: আতাউর রহমানও এই পদে নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে সম্প্রতি ৫২ জন প্রথম শ্রেণী লাভের পেছনের হোতা হিসেবে ড: আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে দুনীর্তির অভিযোগ সম্প্রতি উঠেছিল। তবে সম্প্রতি ড: আতাউর রহমান রাস্ট্রবিজ্ঞান সমিতির হর্তাকর্তা হিসেবে সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদকে নিমন্ত্রন জানিয়ে তার পেছনের ইতিহাস যদি ঝেড়ে ফেলতে চান, সেটা একেবারেই ভিন্ন কথা। এদেশে প্রতিটি অন্যায়ের হোতারা শাস্তি না পেয়ে পুরস্কার পান। এবারের তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে তার ব্যতিক্রম তা দেখতে কি আমরা ব্যর্থ হতে যাচ্ছি? ড: আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী পদ পান আর না পান, কলংকের দায় তার পিছু কোনদিনও ছাড়বে না। তবে ইউজিসির পদে তার নিয়োগের আগেই আমি সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।

No comments: