আজকের সংবাদ পত্রিকার প্রতিবেদনটি চোখে পড়তে মনে হলো জামাত কি সত্যি আতঙ্কে আছে? মনে হয় না। জামাতীদের গায়ে আঁচড় দেবে কে? একটু খেয়াল করে দেখলেই চোখে পড়ে জামাতীদের উপর তেমন কোন দুর্ভোগ এখনও আসেনি। বিপদ আসি আসি বলেও নেতারা এখনও বহাল তবিয়তে আসীন আছেন। অথচ বাংলাদেশে মৌলবাদী ধর্মান্ধতার বিস্তারে তাদের ভূমিকা অতি ঐতিহাসিক। জেএমবি’র ছ’জনের ফাঁসী হয়েছে, অথচ যারা জেএমবির আদর্শগত ধ্যান ধারণার ধারক ও বাহক, তাদেরকে বহাল তবিয়তে রাখা হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয় ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যে অনিয়ম ও দলীয় স্বজনপ্রীতি হয়েছে তা পত্রপত্রিকা খুললে এখনও চোখে পড়বে। তারপরেও দেখা যায় জামাতের শাহজাহান এমপি বিনা বাধায় দুদক থেকে চলে যান। কেউ তার টুটি চেপে ধরেনি। তবে জামাত শিবির রাজনৈতিক মাঠের চেয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে কাজ করতে বেশী দক্ষ তা অতীত ঘাঁটলেই দেখা যায়।
চকরিয়ায় জামাতের নেতার বাড়ী থেকে গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে এই সংবাদ কেবল সেই আন্ডারগ্রাউন্ড কার্যক্রমের সূচনা বলে মনে করলে ভুল হবে। জেএমবি’র সন্ত্রাসীদের অনেকের আর্থিক নেটওয়ার্ক হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের কোন কোন শাখা জড়িত ছিল বলে আগের খবর জোট সরকারেরর আমলে সংগতকারণেই ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। এগুলো নিয়ে পুণরায় তদন্ত শুরু করা দরকার। জামাতের সাথে জেএমবি’র সম্পর্কফলাও করে প্রচার হলেও কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। শুধু আড়াল করা হয়েছে তাদের সকল অপকর্ম। এমনকি তত্তাবধায়ক সরকারেরর আমলে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে সুনামগঞ্জের জামাতের নেতার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বাইরে থাকে। অন্যরকম খুঁটির জোর না থাকলে তা সম্ভব না। তাই, জামাতীরা আতঙ্কে থাকে না। জাতীয়তাবাদীদের ঘাঁড়ে চেপে জামাতীদের শেকড় যে বহুদূর বিস্তৃত তা বলার কোন দরকার নেই।
1 comment:
জাতীয়তাবাদীগো ঘাড়ে চাইপা না জামাতের শিকড় আরো অনেক গভীরে, গোড়া কাটলে গুইনা দেইখেন..কথা হইলো গোড়া কাটবো ক্যাঠা?
Post a Comment