বাংলাদেশের রাজনীতির পালে খুব শীঘ্রি হাওয়া কি লাগছে? মনে হয় না। রাজনীতির মারপ্যাঁচ সত্যি বড্ডো জটিল। কখন যে কোনদিকে বাতাস লাগবে তা আচঁ করা সত্যি দুরুহ। এদেশে মিডিয়া সুর বদলায় খুব দ্রুত । নতুন আর কি? আমাদের চোখ অভ্যস্ত। হঠাত আমার এক বান্ধবীর বাবার কথা মনে পড়ল। ভদ্রলোক পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। সেটাই তার জন্য কাল হয়েছিল। সামরিক প্রশাসক জিয়ার সময় তাকে জেলে পুরে রাখা হয়েছিল। কোন বিচার হয়নি। লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি নেননি। তিন বছর বিনা বিচারে জেলের পানি খেয়ে বাড়ী ফিরেন। স্বৈরতন্ত্র একেক সময় একেক রুপে আসে। এরশাদও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ করতে এসেছিলেন। তারপর কি হয়েছে তা নতুন করে বলার দরকার নেই। আজকে জেবতিক আরিফের লেখাটা মনে করিয়ে দিলো কি চমতকারভাবে এদেশে মিডিয়া সুর বদলায়। তোষামোদকারী চাটুকারের দল চিরকালই মেরুদন্ডহীন হয়ে থাকে।
সেইদিন এক সাংবাদিক বন্ধুর সাথে দেখা। জিগ্যেস করলাম, কি আসছে না কি? বলল, সরাসরি তো আসবে না। কিন্তু সোজা আঙ্গুল দিয়ে কি ঘি উঠে? কিন্ত বাঁকা করলেই তো সবাই বুঝে ফেলবে। তবে গত ১৬ বছরে দেশে একটা গুনগত পরিবর্তন হয়েছে। লোকজনকে বারবার বোকা বানানো সম্ভব না। আর আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি তুলতে গেলে বাইরের দুনিয়ার লোভনীয় ঘিয়ের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন একজন সাংবাদিক উপকথার নায়কের মতো স্মরণীয় হয়ে আছেন। অসম্ভব সাহসিকতার সাথে তিনি রিপোর্ট করতেন। স্মরণ করি সাহসী সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দীনকে। সময়ের টানে সবকিছু নস্টদের হাতে গেলেও সবাই কিন্তু বিবেক বিকিয়ে দিবে না। সময় যে অনেক বদলে গেছে। এটা ভুলে গেলে বড্ডো বোকামী হয়ে যাবে। সংবাদ ও যোগাযোগ মাধ্যমে যে অকল্পনীয় পরিবর্তন এসেছে তা মনে রাখা খুব জরুরী।একই সাথে আড্ডা আর ইউনিআড্ডায় প্রকাশিত।
No comments:
Post a Comment