একই সাথে আড্ডায় প্রকাশিত
মিডিয়াতে নানান কথা আসছে। অনেক কথা আমরা শুনছি। অনেক কথা শোনার ব্যাপারে নিরুতসাহ করা হচ্ছে? প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশ কি পাকিস্তান? যারা বাংলাদেশকে চেনে না, মানচিত্র পড়তে পারে না, তাদের কথা এক্কেবারে আলাদা। যারা মোটামুটি জানেন বাংলাদেশকে তারা খুব ভালভাবে জানেন বাংলাদেশ পাকিস্তান না। বাংলাদেশ আফগানিস্তান না। কাজেই সেধরনের স্টাইল বা ধারা অনুসরণ করে বাংলাদেশকে চিত্রিত করা কখনও সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ সাময়িকভাবে তত্বাবধায়ক সরকারের নিয়ন্ত্রনে আছে। যারা ২০০৮ সালের মধ্যে নির্বাচন ও দুর্নীতিবিরোধী অ্যাকশন নিয়ে ব্যস্ত। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে সত্যিকারের গণতন্ত্রের পথে নিয়ে আসা। বাংলাদেশে যে সামরিক প্রশাসক জিয়া বা এরশাদ স্টাইলের সরকার কখনও হালে পানি পায়নি, তা সবাই জানে। আর বর্তমান সরকারের সেই ধারা অনুসরণ করার যে বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই তা স্পস্ট হয়ে উঠেছে সাম্প্রতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে। বাংলাদেশের বর্তমান সংকট সাময়িক। এই সংকটকে দীর্ঘায়িত বা জটিল করে কেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবে সেই ধারণা যে অমূলক তা প্রমানের সময় চলে এসেছে। জনগণ আগের যে কোন সময় থেকে অনেক বেশী সচেতন তা কি কানে কানে বলার কোন দরকার আছে?
খবর ডট কমে দেশ সম্পর্কে খবরে চোখ পড়ল। ভয়েস অব আমেরিকা দিল্লী থেকে দেশ নিয়ে নতুন খবর প্রকাশ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউন প্রকাশ করেছে প্রতিবেদন। সব খবরই দেশ নিয়ে। সমস্যা নিয়ে। সংকট নিয়ে। কিন্তু এখন কি আর বিভক্তির সুযোগ আছে? সামরিক বাহিনী চিরকালই দেশকে রক্ষা করেছে। আমরা সবাই কৃতজ্ঞ। তাই নির্বুদ্ধিমানরা বাইরেরর দুনিয়ায় যাই লিখুক না কেন, আমাদের সবাইকে এখন ঐক্যবদ্ধ হতে হবে দেশকে বাঁচাতে। এনটিভি থেকে শুরু করে সকল টিভি চ্যানেলে এখন সামরিক বাহিনীর প্রশস্তিমূলক সংগীত নিয়মিত পরিবেশন করে দেশপ্র্রেম বাড়াতে হবে। দেশপ্রেমে অন্ধরা কোনদিনও বেঈমানী করে না তা একাততর থেকে সকল সময়ে আমরা দেখে এসেছি।
No comments:
Post a Comment