Wednesday, February 21, 2007

মুখোশ

আজ সকালটা অন্যরকম। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে বিছানায় গড়াগড়ি করলেন না প্রফেসর আশরাফ চৌধুরী। হাল্কা শীতের মাঝেও উঠলেন। বারান্দায় কিছুক্ষণ দাঁড়ালেন, আর মনে মনে কী যেন ভেবে গেলেন। আজ সরকারী ছুটি। য়্যূনিভার্সিটি বন্ধ, ক্লাসের ঝামেলা নেই। তবুও আজ ব্যস্ততার দিন। তাড়াহুড়া করে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল সারলেন। কর্ণফ্লেক্স, স্যান্ডউইচ আর সয়ামিল্ক দিয়ে ব্রেকফাস্ট করলেন। কুমিল¬ার খাদি পাঞ্জাবী-পায়জামা, শেরওয়ানী কলারের কটি জড়ালেন গায়ে। মাথায় ঘন জেল দিলেন। ততক্ষণে ড্রাইভার গাড়ী নিয়ে হাজির। বেশ ফুরফুরে মেজাজে আশরাফ চৌধুরী গাড়ীর পেছনের সীটে বসলেন। গাড়ী ছুটে চললো শহর পেরিয়ে আশরাফ চৌধুরীর নিজের এলাকায়। ...সবাই এমনভাবে ধরলো আর না বলা গেলো না। এছাড়াও এলাকার কৃতি সন্তান, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে কিছুটা দায়বোধ তো আছেই। দু'ঘন্টার জার্ণি হলেও মাঝে মাঝে গ্রামে যেতে খুব ভালো লাগে তার। আজ ভালো লাগার পাশাপাশি মনে মনে একটা খসড়া করে চলেছেন আশরাফ চৌধুরী। হাল্কা কুয়াশা কেটে গাড়ী এগিয়ে চলেছে। মনের ভেতর কথকথার খসড়াটাও এগিয়ে চলেছে...।


দুই.
চারদিকে আজ সাজসাজ রব। ফাল্গুনের প্রথম সপ্তাহে সকালের রোদ কড়া হচ্ছে ক্রমাগত। স্কুলের ছেলেমেয়েরা ইউনিফরম পরে ছোটাছুটি করছে। কেউবা মাঠের মাঝখানে রোদ পোহাচ্ছে দলবেঁধে। মাইকে বেজে চলেছে দেশের গান, ভাষার গান। "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কী ভুলিতে পারি", "ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়্যা নিতে চায়, "আমি বাংলায় গান গাই"। বাংলা, বাঙালী, বাংলা ভাষা! স্বদেশ প্রেমে উজ্জীবিত একটি নতুন সকাল। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রফেসর আশরাফ চৌধুরীর আগমনে গুঞ্জন-কোলাহল শেষে ফুলের মালায় অতিথিদের বরণ করা হয়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন আর জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্থানীয় গণ্যমান্যদের পর বক্তৃতা শুরু করেন প্রফেসর আশরাফ চৌধুরী। এই সকালে শতশত কিশোর প্রাণের সমাবেশ দেখে তিনি আনন্দে উদ্বেলিত হন। নস্টালজিক হন। ৪০ বছর আগের একুশে ফেব্রুয়ারীর স্মৃতিচারণ করেন। তখনকার গ্রাম বাংলার নৈসর্গিক বিবরণ দেন, বাংলার গ্রামের মানুষদের সহজাত সারল্যের প্রশংসা করেন, নাগরিক জীবনের যন্ত্রণার কথা বলেন, সর্বস্তরে বাংলা চর্চার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সাথে সাথে বাংলা সংস্কৃতির উপর বিদেশী ভাষার সম্ভাব্য আক্রমণের আশংকা করেন। দর্শকদের তালিতে মুখরিত হয় যাদবমোহন বিদ্যাপীঠের সবুজ প্রাঙ্গণ। মফস্বলের সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিষ্ঠার ব্যাপক প্রশংসা করে একুশের চেতনা লালন ও বিস্তারের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা ক্লিক ক্লিক ছবি তোলে। মফস্বল সংবাদ পাতায় বিশেষ রিপোর্ট যাবে। অনুষ্ঠান শেষে সূধীজনের প্রশংসায় আপ্লুত হন প্রফেসর আশরাফ চৌধুরী। দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার আগেই শহরে ফিরে আসলেন তিনি। সন্ধ্যায় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে "আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় একুশের চেতনা" টক শো-তে অংশ নিবেন তিনি।


তিন.
আড়ঙের ঝকঝকে পাঞ্জাবী, কাঁধে নকশীবাংলার শাল, চোখে ভারী ফ্রেমের চশমা পরে আলোচনা করছেন প্রফেসর আশরাফ চৌধুরী। টিভি প্রোগ্রাম, তাই হাল্কা মেকআপও নিয়েছেন। সম্রাট আকবরের সময় থেকে শুরু করেছেন তিনি। ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান পিরিয়ড, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ, সামরিক শাসন, গণ-অভ্যূত্থান; এভাবে সময় ভাগ করে কথা বলছেন তিনি। পর্যায়ক্রমে শিক্ষা ব্যবস্থার পট পরিবর্তনের প্রসংগে গেলেন। ইংলিশ মিডিয়াম এডুকেশনের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করলেন। প্রাইভেট য়্যূনিভার্সিটিগুলোকে দেশের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির মূলধারার বাইরে বিভ্রান্ত ব্যবস্থা বলে বকাঝকা করলেন। শুদ্ধ উচ্চারণে বাংলা বলা, দেশীয় ঐতিহ্যে জীবন-যাপনের প্রয়াস, অপসংস্কৃতি, কালচারাল ইন্টারাপশান, কালচারাল ডাইভারশান, জেনারেশন গ্যাপ, স্যাটেলাইট প্রভাব, গ্লোবালাইজেশন আর পোস্ট-মর্ডানিজমের কঠিন কঠিন থিয়রী টেনে পাশ্চাত্য মোহে শেকল পরিয়ে অন্তজ: শেকড়ের টানে মূলধারায় ফিরে যাওয়ার শাশ্বত আহবান জানিয়ে প্রফেসর আশরাফ চৌধুরী আলোচনা শেষ করেন।


চার.
রাতে বাসায় ফিরে প্রফেসর আশরাফ চৌধুরী অনেকগুলো ফোন রিসিভ করলেন। চমৎকার বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। য়্যূনিভার্সিটির ডীন স্যারও ফোন করেছিলেন। ধন্যবাদ আর প্রশংসার জোয়ার বয়ে যায়। ডিনার শেষে বিছানায় গা হেলিয়ে বিজনেস উইক আর দ্য ইকনোমিস্ট ম্যাগাজিনে চোখ বুলাচ্ছিলেন। পাশের রূমে স্কলাসটিকায় এ-লেভেল পড়ুয়া মেয়ে সিলভিয়া ফুল ভলিউমে জেনিফার লোপেজের ওয়েটিং ফর টু নাইট শুনছে আর বয়ফ্রেন্ডের সাথে গুট্টুস গুট্টুস গল্প করছে। যুগল বন্ধন, একটেল জয় - কথা হয় যে কোন সময় নির্ভাবনায়, কাছে থাকুক প্রিয়জন। ড্রয়িং রূম থেকে মা আফসানা চৌধুরী মেয়েকে বকাঝকা করছেন। গানের শব্দে টিভি দেখতে অসুবিধা হচ্ছে তার। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত তিনি হিন্দি ডেইলী সোপ দেখে যাবেন। ও রেহনেওয়ালী মেহলোন কি, হারে কাঁচ কী ছুড়িয়া, সিন্দুর, কিট্টু সব জানতি হ্যায় কিংবা বলি সে তারে রিক্যাপ - কিছুই বাদ যাবে না। পরদিন উইমেন রাইটস ক্লাবে মিসেস আহমেদ আর মিসেস হকের সাথে একচোট হয়ে যাবে। তাই সিন্দুরের আজকের পর্বের ভেদিকা আর রূ˜্র রায়জাদার সংলাপগুলো খানিকটা মুখস্ত করে নেন। মা-মেয়ের কোলাহলে ম্যাগাজিনে মন দিতে পারছিলেন না প্রফেসর আশরাফ চৌধুরী। আবার ফোন বাজে। স্টেটস থেকে ছেলে ফোন করেছে। প্রতি উইক-এন্ডে ছেলে ফোন করে কথা বলে। তার অ্যামেরিকান হোয়াইট বৌ শ্বশুরের ইংলিশ অ্যাকসেন্ট না বুঝায় কনভার্সেশনে ইন্টারেস্ট পায় না। তবুও ৭ বছরের নাতির সাথে কথা হয়

- হাই, গ্রান্ড ফা!- হ্যালো, হাউ আর য়্যূ?
- আই অ্যাম ফাইন, য়্যূ?
- মী টু। হাউ'জ য়্যূর ড্যাড অ্যান্ড মম?
- দে আর ওকে, বাট কোয়ারেল সামটাইম। প্লিজ গ্রান্ড ফা, টেল ড্যাডি টু টেক মী বাংলাদেশ।
- ওহ ডিয়ার ডোন্ট সে দিস। ইটস অ্যা ভেরী ডার্টি কান্টি ্র , নাথিং টু সি এরাউন্ড।
- হোয়াই?- ইট'স অ্যা পুওর ক্রাউডি ল্যান্ড। ফুল অব আনকালচার্ড পিপল।
- সো হোয়াট? য়্যূ আর গুড!
- নো! ইফ আই হ্যাড অপশন, আই উড হ্যাভ লেফট দিস ল্যান্ড।

সফল মানুষ প্রফেসর আশরাফ চৌধুরীর আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ!

Monday, February 19, 2007

হাজারদুয়ারী -- ঐতিহ্যের সঙ্গে আগামীর যোগসূত্র

সবার সাথে একটা জিনিষ শেয়ার করি। মাথায় অনেকদিন থেকেই কিছু জিনিষ আইডিয়া হয়ে ঘুরপাক খাচ্ছিলো। একটা দরজা দিয়ে ঢুকে হাজারটা দরজার সন্ধান বের করা! মাসকাওয়াথ ভাই যেদিন বললেন এরকমই কিছু একটার কথা, ধুম করে রাজী হয়ে গেলাম। অথচ মরার মতো সময়টাও হাতে নেই তখন। তারপরও ঠিক করে ফেললাম, ফেব্রুয়ারীতেই হবে সেই “হাজারদুয়ারীর“ উন্মুক্তকরণ।

আমি কখনোই মানুষের কাছ থেকে কাজ আদায় করতে পারি না। মোটিভেট ও করতে পারিনা কাউকে। লাভের লাভ যেটা হয়, অন্যকে মোটিভেট করতে গিয়ে নিজেই মোটিভেটেড হয়ে যাই! অনেকদিন আগে একজনকে একটা কাজ দিয়েছিলাম এক বড়ভাইয়ের জন্য। নাহ্, কাজটা হয়নি। আমার অনুদান ছাড়াই বড় ভাইয়ের থিসিসের কাজটা সমাপ্ত হয়েছে। খুব খারাপ কথা আমার জন্য!

একেবারে শেষ মুহুর্তে এসে যখন দেখলাম ফেব্রুয়ারীতে “হাজারদুয়ারী“-র উন্মুক্ত হওয়াটা হুমকীর সম্মুখীন, তখন বাধ্য হয়েই নামতে হলো মাঠে! তবে আমি জানি না সঞ্জীবদা'র পৃষ্ঠপোষকতা আর মাসকাওয়াথ ভাইয়ের উৎসাহ না পেলে এটা আদৌ শেষ হতো কিনা!

“হাজারদুয়ারী“ এখন 'ট্রায়াল এন্ড এরর' পর্যায় অতিক্রম করছে। এর গায়ে হাড়-মাংস জড়ানোর জন্য চাই আপনাদের সবার অবদান, লেখা, চিন্তা-চেতনার আদান-প্রদান।

“ হাজারদুয়ারী“- প্রকাশিত হবে আপনাদের ই লেখা নিয়ে, মাসে একবার, মধ্যদিবসে। “হাজারদুয়ারী“ সবার লেখাই প্রকাশ করবে, তবে ছোট একটি বিনীত অনুরোধ থাকবে- লেখার বেলায় শুধু খেয়াল করবেন যে লেখাটা 'আপনি' লিখছেন!

লেখাটা তৈরী করে পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় : hajarduari@gmail.com

হাজারদুয়ারীর প্রচ্ছদ পাতাটা দেখুন এই ঠিকানায়

আপনাদের সবার উদ্দীপনা আর স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহনকে পুঁজি করেই এগিয়ে যাবে হাজারদুয়ারী আগামীর পথে, ঐতিহ্যকে যুক্ত করার প্রয়াসে....!

Thursday, February 15, 2007

An Open Letter to Dr. Yunus

It's been obvious that Dr. Yunus is now entering into Bangladesh politics. He's looking for public opinion on his open letter that he wrote to public. It's been reported that he's received an overwhelming amount of positive public response. A concerned citizen of Bangladesh has recently written an open letter to Dr. Yunus. Will Dr. Yunus even dare to respond to this open letter to prove his straightforwardness? Please read this letter that has drawn huge attention among Bangladeshi readers:

An Open Letter to Prof. Yunus

Dear Dr. Yunus,

You have already placed yourself in history as the 1st Nobel Prize winner from Bangladesh. People of Bangladesh have accepted you as their pride. Apart from all bad things in Bangladesh, you gave us a good name. We feel proud for you. You definitely can join in politics, if you want to. BUT I have concerns about the technique, means and the timing you chose to be in politics. In response to your recent open letter to people of Bangladesh, I have following questions to you:

1. In your entire life before earning Nobel Prize, we never heard about your interest in politics. How can a person who wants to do good for the nation was silent so long? Does that mean our country was going in correct direction until recently?

2. You were silent even during major incidents in our country that threatened democracy and politics. For example, the August grenade that killed all major leaders of a political party. This was criticized by almost all nations including United Nations. 22 people gave life and many became crippled for life. How come someone who claims to do good for the nation remained silent at that time? How can anyone sensitive to politics did not utter a single word about it.

3. Apart from all other killings, the brilliant son of the soil Mr. ASM Kibria was killed. Again all major head of the states including U.N. secretary general condemned the attack. Even U.S. senators and congressmen time and again urged for bringing the killers to justice. How come a person like you did not say a single word about it? According to our religion, if you do not protest an injustice, your faith (Iman) is very low. Another Nobel laureate poet Rabindranath Tagore said, one who does injustice and the one who tolerates it both should receive your hate".

4. Dear Prof. Yunus, your letter to public seeking opinion is very strange to me. In a country with 9 crore (approx) voters, how many responses would you take as "Yes".

5. Most importantly, we do not know your formula or layout of a "Dream Bangladesh". How can we give opinion when we do not know how you will lead us and achieve for us a "Dream Bangladesh"? You didn't give us a guideline how you will improve our poverty, unemployment, education, crime, law & order etc. You won Nobel Prize doesn't tell us what you will do in politics.

6. Look at our football and cricket teams and the movie industry. We are still far behind in world arena. Since you won Nobel Prize, should we also give opinion that you play football and cricket for us, or do acting in movies? We cannot, and similarly we cannot give our opinion if you should be in politics without knowing your political formula, layout, norms and beliefs for politics.

7. You recently said all political leaders are corrupt. I would like to know your evaluation for Sheikh Mujib who spent 15 years of his life in prison and gave us freedom. I would like to know your opinion about Maulana Bhasani who always stood for oppressed people. I would also like to know your opinion on army generals turned politicians Generals Zia and Ershad. I need to know your evaluation before I can give my opinion about you in politics.

8. You recently said, we have to come out of old political trend and need a new party. Do you mean there will be only one party i.e. only your party in this country and no AL, BNP, JP, LDP, Jamat and others?

9. We do not know your political feelings as you were not involved in any of our major national political events; like our language movement and war of Independence.

10. Why are you making all your major statements about joining politics when you are visiting India? Any particular reason? Do you feel more homely in India?

11. Most amazingly, during your recent Delhi visit, you said you do not want to be a president, as president has no power. At least we know from your statement that you want power. Is your politics for achieving power or for welfare of people? Gandhiji and Maulana Bhasani achieved a lot in politics for people without going to power. Why cannot you be like them? People would then worship you.

Dear Prof. Yunus, if "morning shows the day", your morning on politics did not show anything promising. It is you who openly supported Justice M.A. Aziz and his partisan election commission. People called them clown and you gave statement that we should accept them and go for election. It is you who supported prof. Yazuddin as the chief of caretaker government and recommended one sided January 22 election. Dr. Yunus, I get worried when I see a man like you so much against people's sentiment, so much without principle. I am scared to recommend you for politics based on what you have shown so far. I didn't see you have a vision for the future of our nation. Your suggestions would have led us into bloodshed, anarchy and civil war. How and why should I convince myself that you will do good for the nation.

I thus cannot give my opinion. I wish you join politics and go to people from villages to villages. Please tell them what you want to do and how, and then see if people want you or not.

Thanking you and with regards,

Monsur Ibrahim,
Florida, USA

Wednesday, February 14, 2007

"Gom Chora" Shakhawat

Brig. (Retd.) Shakhawat Hossain has been selected as the new election commissioner of Bangladesh. Sadly, the army had fired him in 1993 for stealing food (20,000 tonne wheat) from the CHT people's allocation during the early 90's.

Is Fakruddin starting to follow in Yes-uddin's shoes?

Read the Shamokal article HERE.

Saturday, February 10, 2007

গোলাম আজম অ ভাষা আন্দোলন

প্রিয় ব্লগারুগন,
শুভেচ্ছা জানবেন ।
ভাষা আন্দোলনে গোলাম আযমের সংশ্লিষ্টতা সংক্রান্ত মিথ্যাচার নিয়ে লেখা দরকার । আমি দেশের বাইরে থাকায় যথেষ্ট তথ্য আমার হাতে নেই । যারা দেশে আছেন তাদের কেউ কি তথ্যপুর্ন লেখা উপস্থাপ্ন করবেন?

আমি যতটুকু জানিঃ

১। গো আঃ ৪৮-৪৯ এ জি এস ছিলো । সে সময়ে ছাত্রদের ভোটে নয়, সরকারের মনোনয়নে ভিপি , জিএস হতো ।সে কারনে মুল আন্দোলন কারীরা এদের কে সরকারের চর হিসেবে সন্দেহ করতেন ।

২। যে স্মারকলিপির কথা বলা হয় সেটা ছিলো মুলতঃ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক দাবিদাওয়া সংক্রান্ত । তবে শেষের দিকে বাংলাভাষার কথা ছিলো,শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাখা ।

৩।মুল আন্দোলনের সময় গোলাম আযমদের কোন উপ্সথিতি বা কার্যক্রম ছিলোনা ।


কিন্তু এই মুহুর্তে ডিফেন্ড করার মতো কোনো তথ্যসুত্র খুঁজে পাচ্ছিনা ।

আপনারা কেউ কি একটু দেখবেন?



ধন্যবাদ সহ

হাসান মোরশেদ ।

Thursday, February 8, 2007

ড: ইউনুস নতুন ত্রাতা

আবার শুরু হয়েছে নতুন নাটক। বেশ কিছুদিন থেকেই ভাবা হচ্ছিল ড: ইউনূস রাজনীতিতে পা রাখবেন, এখন অবস্থা দেখে তাই মনে হচ্ছে। তিনি বিমান থেকে নেমে সেরকম ঘোষণা দিলেন। ভাল কথা। হঠাত তিনি রাজনীতির মাঠে এসে যোগ দিচ্ছেন, ঘটনা কি? বাহুবল কে জোগাচ্ছে? এ নিয়ে আসছে লেখা...অপেক্ষায় থাকুন....

Wednesday, February 7, 2007

প্রিয় বাংলাদেশ-



গত ডিসেম্বরের কোন এক সন্ধ্যায়-
প্রিয়তির হাত ধরে হেঁটে যেতে যেতে,
শাহবাগের ফুলের দোকানগুলোর সামনে হঠাৎ থমকে দাঁড়ালাম।
কয়েকবার ডানে বামে তাকিয়ে-
খানিকটা ইতস্তত চোখে,
আর- দোনোমনা করতে করতেই-
- না, না, ফুল নয়-
লাঠির মাথা থেকে নামিয়ে ঠিক একশত টাকা দিয়ে আমি একটা পতাকা কিনেছিলাম।

ঘন সবুজ আর গাঢ় লাল রং তার।
ইচ্ছে ছিলো- লালটুকু দিয়ে ছুঁয়ে দিই প্রিয়তির গাল।
অথবা আদুরে আদরে বলি,
“একটু আঁচলের মত করে জড়িয়ে থাকো না গায়ে!''
বলা হয় নি- কিছুটা ইতস্তত,
আর বিচলিত মন নিয়ে
আমি সেটা প্রিয়তির ভ্যানিটি ব্যাগে ভরে রাখি।

হাত ইশারায় ট্যাক্সি থেমে পড়ে।
তাতে চড়ে বসে, সঙ্গত অধিকারবোধে আমি প্রিয়তির কাঁধ জড়িয়ে থাকি।

বাবুই পাখির মতন ওম ভরা গায়ে সে কাছে এসে বসে,
আমি আলতো করে তার ব্যাগ খুলে,
অনেকটা নির্লজ্জের মতই ছুঁয়ে থাকি পতাকা।
তড়িচ্চমকের মতন একটা উত্তপ্ত অনুভূতির স্পন্দন যেন
সেখান থেকে আমার আঙুল বেয়ে উঠে এসে,
ঠিক বুকের পেছনে হৃৎপিন্ডের ভেতরে ঢুকে পড়ে।।

প্রিয়তি জানে না-
আজ মাস দুয়েক পরে,
পরবাসে বসে এই নির্জন রাতে
প্রিয়তির ওম জড়ানো আদরের স্মৃতি গায়ে মেখে নিতে নিতে-
হাত বাড়িয়ে বুকের কাছটায় যখন হৃৎপিন্ড ছুঁই-

প্রতিটি স্পন্দনের সাথে আমি তখন দারুন আবেগে-
শুধু তোমাকেই ছুঁয়ে থাকি প্রিয় বাংলাদেশ।।

০৬/০২/০৭


---------

সদ্য লেখা কবিতা দিয়েই এইখানে যাত্রা করলাম।

Tuesday, February 6, 2007

কমলার বস্ত্রাহরণ...

পোস্টের শিরোনাম দেখে এমন ভাবার দরকার নেই যে আমি কমলার ব্যবসায় কোমরে পড়নের লুঙি বেন্ধে নেমেছি। তবে লোকজনের সে রকম খাইছলত, ভাবতেও পারেন আমি পাশের গ্রামের সুন্দরী কমলার গুনকীর্তনে করতাল বাজানোর জন্য চান্স খুঁজতেছি! সেক্ষেত্রে আমার কিছুই বলার নেই, তবে লেখার আছে।

কমলার সাথে আমার অভিজ্ঞতা খুব একটা সুবিধার না। তার ভেতরের সৌন্দর্য উপভোগ করাতো দূর অস্ত, যতোবার চেষ্টা করেছি তাকে নিরাবরণ করতে ততোবারই আমার চোখ দিয়ে বয়ে গেছে গঙ্গা-যমুনা! আমিও চোখ মুছতে মুছতে তাকে ছেড়ে দিয়ে অন্য রাস্তা ধরেছি।

একবার এক বন্ধুর বাসার বসার ঘরে পা ছড়িয়ে টেলিভিশন দেখছি। যথারীতি পাশে ছিলো কমলা এবং আমার মহিলা বন্ধুটি। এইবার বন্ধুটির দিকে একটু কেমন করে তাকাতেই বুঝে গেলো কি বলছি। কমলার 'বস্ত্রহরণ', মাথা ঝাঁকিয়ে জানালো আমাকে সাহায্য করা তাঁর পক্ষে সম্ভব না। নিজে পারলে কর না পারলে বইয়া থাক!

দেস না ভাই, এমুন করস ক্যা?
ঃ- এ্যাঁ... আমি খুইলা দিমু আর মজা লুটবি তুই, হইবো না...
আরে দেস না, আমি পারলে কি তোরে কই?
ঃ- না পারলে গিয়া বিয়া কইরা ল, আমারে কস ক্যা? যা ফুট!

শেষমেষ অবশ্য বন্ধুটারে অতি কষ্টে পটিয়েছিলাম কমলার আবরণ খুলে আমার সামনে উপস্থাপন করতে। আর আমিও মহা সুখে, ডিভাইন আনন্দে কমলার স্বাদ উপভোগ করেছিলাম... আহা!!

আজকে এক নতুন কমলার সাথে পরিচয় হলো আমার। আমার বন্ধুটি তো এখন আমার পাশে নেই আমাকে সাহায্য করার জন্য। বাধ্য হয়ে নিজেই হাত চালালাম। অপরিপক্ক ভাবে এদিক ওদিক হাত চালাতেই ঘাবড়ে গেলাম - ওকি রক্ত বেরোয় যে! কমলার আগে আমিই মারলাম চিৎকার সজোরে...।

আমার চিৎকার শুনে একজন বললো। ভয়ের কিছু নাই, এটাই স্বাভাবিক। আমি আকাশ থেকে পড়লাম হলদে জিনিষের জায়গায় লাল জিনিষ দেখলে ঘাবড়ানোটাই স্বাভাবিক জানতাম, এখন শুনছি উলটোটা... ঘটনা কি?

অবশেষে হাত টাত মাখিয়ে, এখানে ওখানে 'রক্ত' লাগিয়ে তারপর উপভোগ করা হলো আমার রক্তিম কমলা। একটু টক টক লাগে, কিন্ত অসম্ভব রকমের দারুণ স্বাদ। দেখতে সভাবিক কমলার মতোই শুধু ভেতরটা হলদে না হয়ে লালচে।

ক্ষুধা ছিলো প্রচন্ড, খেয়ে নিয়েছি গোটা কয়েক। খাওয়ার পর ভাবলাম এবার শেয়ার করি সবার সাথে আমার কমলা খাওয়া!!

ইসলামী ওয়াজ-১

আবার শুরু হয়েছে ইসলামী ওয়াজের মওসুম। বড়ো মুনাফার ব্যবসা। ঐ দুনিয়াতে কি হবে তা জানি না, কিন্তু এই দুনিয়ায় ইসলাম বেচে যে অনেকেই ক্ষমতার সোওয়াদ নেয় তা চোখের সামনেই দেখছি। কাগজওয়ালা ফেরীওয়ালার মতো ইসলাম বেচে যাদের রুজি রোজগার তারা অন্তত: ধর্মবোধের প্রসার ঘটায় না। গত ৫ বছরে এদের ধর্মের ইসলাম কায়েমের জন্য কয়টা বিল যেন সংসদে এনেছিল, ভুলে গেলাম। আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস সংবিধানে যোগ দিলেই মুসলমান হয়ে যাবে, আর এর আগ পর্যন্ত সব মুসলমানি ছাড়া ছিল এধরণের আহাম্মকি কথা এদের মুখে সত্যি সুন্দর মানায়। যখনই রাজনীতির দুয়ার বন্ধ থাকে তখনই শুরু হয় ওয়াজের মওসুম। দেশী বিদেশী সাঈদীদের এখন বড্ডো চাহিদা। এ ধরণের ভন্ডামী করেই এরা চালায় ইসলামী আন্দোলন। শুরু করে ইসলামের নামে হানাহানি। ধর্ম তো চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রকাশ ও প্রসারের বিষয় নয় । আপনার মনে ও চিন্তায় আপনি আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলকে কতোটা মানেন ও পালন করেন তার কৈফিয়ত জাতীয় সংবিধানের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কি দিতে হবে? এটাই হচ্ছে রাজনৈতিক ইসলামের স্বরুপ। ইসলামী বিপ্লবের ধান্ধা। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা না। কিন্তুধর্মনিরপেক্ষতা যে মৌলবাদী ব্যবসার মূলে আঘাত করে এর জন্যই এর বিরুদ্ধে মৌলবাদীদের আর্তনাদ অনেক সোচ্চার হয়। সেই আর্তনাদের কিছু নজীর চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি।

Monday, February 5, 2007

আওয়ামী লীগের যা করা উচিত

হাওয়া ভবনের মত থিংক ট্যাংক কি আওয়ামী লীগের আছে! আওয়ামী লীগ কি দেশের সকল প্রশাষন যন্ত্রের পারসোনেলদের ডাটাবেজ মেইনটেইন করে যেখানে তাদের গতিবিধি, বায়োডাটা, আত্মীয়স্বজনদের আপডেটেড ইনফরমেশন থাকে! প্রশাষণের অভ্যন্তরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সহমত পোষণকারীদের থেকে গোপনীয় সংবাদ সংগ্রহ করে সেগুলো অনুযায়ী তাদের স্ট্রাটেজি বাস্তবায়ন করার কোন পরিকল্পনা কি করে থাকে! বিএনপি-জামাত জোট এটা এতদিন করে এসেছে। সাংগঠনিক ভাবে তাদের আরো যে কাজগুলো করা উচিত -

১. স্খানীয় পর্যায় থেকে গনতন্ত্র চর্চা শুরু করা। যেমন একটা থানার যে কটা ইউনিয়ন আছে সেখানে একটিভ কর্মীদের লিস্ট থাকবে। সেখানে নির্বাচন হবে। সেটাতে দেখাতে হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্খা। জাতীয় ও কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব এর মধ্যে থেকে উঠে আসতে হবে।
২. ছায়া সরকার তৈরী করতে হবে। সরকারের আদলে পার্টির অভ্যন্তওে সে বিভাগ সরকারী সমস্ত সিদ্ধান্তগুলোর ফলো-আপ করতে হবে।

৩. টেকনলজি ইনকর্পোরেট করতে হবে প্রতিটি বিষয়ে, প্রতিটি স্তরে


জাতিয় যে ইস্যুগুলোর দিকে বেশী মনযোগী হওয়া উচিত, যে বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণার জন্য বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি দিয়ে হলেও করা উচিত, তা হচ্ছে -

১. জেএমবি'র উথান যেটা ধর্মীয় শাষণ প্রত্যাশীদের একটা এক্সপেরিমেন্ট ছিল, কিছু লোক যারা আদর্শের জন্য ডেডিকেটেড তাদের এমন কাজ আদৌ জনগণ সাপোর্ট করে কিনা সেটা পর্যবেক্ষণ করা এবং সেজন্য প্রথম থেকেই এদের পৃষ্ঠপোষকরা জেএমবি'কে মিডিয়ার সাজানো নাটক বলে তাদের আড়াল করার চেষ্টা করেছে, এ গ্র“পটার যাবতীয় তথ্যাদি প্রকাশ্যে নিয়ে আসা।

২.র্ যাব সৃষ্টি করে ক্রসফায়ারে হত্যাকান্ড সংগঠিত করে প্রচলিত বিচার ব্যবস্খাকে মানুষের চোখে অকার্যকর ও অমর্যাদাকর প্রতিপন্ন করেছে, যত বড় সন্ত্রাসী হোক না কেন তার ক্রসফায়ারের মৃত্যু অনেক সত্য ঘটনা উদঘটনের সুযোগকে নষ্ট করে। কিন্তু জনগণকে এটা বোঝানো হয়েছে যে একটা সন্ত্রাসী মরল, জনগণ সাধুবাদ দিল, কিন্তু এর মাধ্যমে বিএনপি জোট নিজেদের গড ফাদারদের সুরক্ষিত করার সুযোগ পেয়েছে।

৩. ২৯ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার পেছনে কর্নেল ফারুক গং বা জেএমবি (পারস্পরিক সম্পর্কও আছে অনুমান করা যায়) যারাই জরিত এর অর্থ তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকে নস্যাত করতে চেয়েছে। তাদের সহযোগী হিসাবে বিএনপিজোট অবশ্যই সাহায্য করেছে।

৪. তারেক জিয়া ব্যবসা করলে অকল্পনীয় প্রফিট হয় আর সাধারণ মানুষ ব্যবসা করলে এমন আঙুল ফুলে কলাগাছ হয় না কেন! তার ব্যবসায় সরকারী প্রভাব কে সে অন্যায় মনে করে না, যা দূর্ণীতি সম্পর্কে মানুষের বিশ্বাসকে চটপোঘাত করা, এবং ঘুস, চুরিকে জাতীয়করণ করার একটা ঘৃন্য প্রচেষ্টা।

৫. বিদ্যুত সমস্যার সমাধানের জন্য বরাদ্দকৃত জনগনের টাকা নির্লজ্জভাবে আত্মসাত ও অপচয় করেছে। কানসাটে ও ফুলবাড়ীতে সাধারণ মানুষকে গুলি করার সাহস দেখিয়েছে যারা তাদের বেসিক রাইটের জন্য লড়েছে!


ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আওয়ামী লীগের সব ধরণের নেতৃত্বকে বিশেষত ছাত্রনেতাদেরকে বিভিন্ন ধরণের প্রোমশনাল ম্যাটেরিয়ালস দিয়ে লং টার্ম ক্যাম্পেইনের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারে।

Sunday, February 4, 2007

অপারেশন ক্লীনহার্ট

২০০১ এর নির্বাচনের পরের ঘটনা। রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টের জলপাই রঙের দোস্ত ঢাকায় আসছে। মুলাকাত স্থল কলাবাগানের হেলভেশিয়া। রাজেন্দ্রপুরের আরেক জলপাই চিঙড়ি মাছের মাথার মতো জলপাই জিপে হাজির। সাথের আর্কিটেক্ট পড়ুয়া দোস্ত ছাড়া বাকি তিনজনই আমরা মাশাল্লাহ তালপাতার সেপাই। তবে বুয়েটের ভাবি আর্কিটেক্ট চান্দুরে গালিভারের বংশধর বলে ঠিক চালিয়ে দেয়া যায়।

আমি ব্লাডি সিভিলিয়ান হলেও তৎকালীন লেফটেন্যান্ট চাঙ্কি দুজনের ভাবসাবই আলাদা ছিলো অধঃস্থনদের কাছে। মি. রাজেন্দ্রপুর যেভাবে নামলো গাড়ি থেকে, ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম। আর্কিটেক্টরে বলি, দোস্ত দিমু নাকি দৌড়?

আমি আগেই বলেছি জলপাই রঙরে আমি বড়ই সমীহ করে চলি। কে জানে কোনদিন, কোনদিক দিয়ে ক্লীন হার্টের নামে আমাকেই দুনিয়া থেকে ক্লীন করে দেয় ব্যাটারা। ভয়েডরে থাকাই স্বাভাবিক। নিঃশ্বাসের নাই বিশ্বাস। এক মিনিটের নাই ভরসা গাইতে গিয়া ডেখা গেলো ফিরোজ সাঁই-এর মতো আমিও নাই!

হেলভেশিয়ায় বসার পর কয়েক দফা বার্গার আর কোলা খতমের পর, কয়েক প্রস্ত কুশলাদি আদান-প্রদানের পর কথায় কথায় মি. রাজশাহী তাঁর গল্প বলা ধরলো।

স্থানীয় কোন এক চেয়ারম্যানের পোলার বিরুদ্ধে (লোকাল) মাস্তানীর অভিযোগ। এমনকি বাপ নিজেও পোলার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। গ্রামের কোন এক লোকের সুন্দরী বউকে জোর করে তুলে নিয়ে গেছে। ওকে ধরে আনা হয়েছে, টীমের ইনচার্জ ছিলো আমার শান্ত-শিষ্ট দোস্তটা। গুঁতালেও যে টু শব্দও সহজে বের করতে চায় না, সে।

এ পর্যায়ে আমি হাসি। থাম শালা, তুই একটা মিশনের চার্জ নিয়া গেছস, তাও মাস্তান ধরতে? ব্যাটা মুখ গম্ভীর করে বলে, তুই জানোস এই আমিই আমাদের ব্যাচে 'সোর্ড অফ অনার' পাইছি!

আর্কিটেক্ট আর মি. রাজেন্দ্রপুরের ভরসায় মেনে নেই। আবারো শুরু হয় গল্প।

ধরে এনে তাকে জিজ্ঞেস করা হলো-
: তুই অমুকের (নামটা আমার মনে নেই) বউরে তুইলা আনছস?
- জ্বি না স্যার...

: কথা শেষ হবার আগেই থাপ্পর। মিথ্যা কথা কস ক্যা.... ঠিক কইরা ক।
- জ্বি স্যার আনছি।

: (বড়দের কাজ) করছস?
- না স্যার আমি ফুলের টোকাটাও দেই নাই...

: (চরম গালি) পোলা, তাইলে কি পুজা দেওয়ার লাইগা আনছো? (আবার থাপ্পর)
- জ্বি স্যার করছি...।

: হুমম, কয়বার?
- স্যার একবার...

: (এইবার হাঁটুর গিঁঠে লাথি) একবারের লাইগা এতো কিছু করলি, আর আমারেও কষ্ট দিলি। তোরে ধরতে আমার কষ্ট হয় নাই?
- স্যার দুইবার ....

: (আবারো বিচ্ছিরি গালি) পোলা, ঠিক কইরা ক, কয়বার.... (এবার ধমাধম মার)

এবার ঐ ছেলে কাঁদতে কাঁদতে বলে, স্যার আপনে যতোবার কন ততবারই করছি, তাও আমারে ছাইড়া দেন স্যার। আর জীবনে কোনদিন কোন মাইয়া মাইনষের দিকে ফিরা তাকামু না। ও আমার মা লাগে...।

এইবার আবার শুরু হয় মার। (গালি দিয়ে) তুই তো জাহান্নামের কীট রে, তুই তোর মার লগে এই করস?

-----------

Saturday, February 3, 2007

New Debate in Bangladesh on Holiday:

Currently, Friday is our weekly holiday. Most of the businessmen are asking the care taker government to move holiday from Friday to Sunday. They consider that being Friday off, Bangladesh is really cut off for three days from the West, as they are typically closed in Saturday and Sunday. Now, it's becoming a huge debate as the pro Islamic group like Jamate Islami feels that Friday should remain as a holiday. The debate is further twisted as the Holy Quran doesn't ask for Friday to be an off day. Please read my original article in Bangla and I'll add more thoughts to this posting.

Friday, February 2, 2007

রাজনীতি নিয়ে আমেরিকা শংকিত:

বাংলাদেশের রাজনীতির সংকট নিয়ে যুক্তরাস্ট্র শংকিত। নির্বাচনের হালচাল নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট বেশ চিন্তিত। তারা দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে সামরিক বাহিনীর ছএছায়ায় সিভিল সরকার তা বেশ স্পস্ট হয়ে উঠছে। তবে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করলে যে তার ফল ভালো হবে না সে ব্যাপারে আগাম সতর্কবাণী দেয়া হচ্ছে। রয়টারেরর সৌজন্নে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে: