হাওয়া ভবনের মত থিংক ট্যাংক কি আওয়ামী লীগের আছে! আওয়ামী লীগ কি দেশের সকল প্রশাষন যন্ত্রের পারসোনেলদের ডাটাবেজ মেইনটেইন করে যেখানে তাদের গতিবিধি, বায়োডাটা, আত্মীয়স্বজনদের আপডেটেড ইনফরমেশন থাকে! প্রশাষণের অভ্যন্তরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সহমত পোষণকারীদের থেকে গোপনীয় সংবাদ সংগ্রহ করে সেগুলো অনুযায়ী তাদের স্ট্রাটেজি বাস্তবায়ন করার কোন পরিকল্পনা কি করে থাকে! বিএনপি-জামাত জোট এটা এতদিন করে এসেছে। সাংগঠনিক ভাবে তাদের আরো যে কাজগুলো করা উচিত -
১. স্খানীয় পর্যায় থেকে গনতন্ত্র চর্চা শুরু করা। যেমন একটা থানার যে কটা ইউনিয়ন আছে সেখানে একটিভ কর্মীদের লিস্ট থাকবে। সেখানে নির্বাচন হবে। সেটাতে দেখাতে হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্খা। জাতীয় ও কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব এর মধ্যে থেকে উঠে আসতে হবে।
২. ছায়া সরকার তৈরী করতে হবে। সরকারের আদলে পার্টির অভ্যন্তওে সে বিভাগ সরকারী সমস্ত সিদ্ধান্তগুলোর ফলো-আপ করতে হবে।
৩. টেকনলজি ইনকর্পোরেট করতে হবে প্রতিটি বিষয়ে, প্রতিটি স্তরে
জাতিয় যে ইস্যুগুলোর দিকে বেশী মনযোগী হওয়া উচিত, যে বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণার জন্য বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি দিয়ে হলেও করা উচিত, তা হচ্ছে -
১. জেএমবি'র উথান যেটা ধর্মীয় শাষণ প্রত্যাশীদের একটা এক্সপেরিমেন্ট ছিল, কিছু লোক যারা আদর্শের জন্য ডেডিকেটেড তাদের এমন কাজ আদৌ জনগণ সাপোর্ট করে কিনা সেটা পর্যবেক্ষণ করা এবং সেজন্য প্রথম থেকেই এদের পৃষ্ঠপোষকরা জেএমবি'কে মিডিয়ার সাজানো নাটক বলে তাদের আড়াল করার চেষ্টা করেছে, এ গ্র“পটার যাবতীয় তথ্যাদি প্রকাশ্যে নিয়ে আসা।
২.র্ যাব সৃষ্টি করে ক্রসফায়ারে হত্যাকান্ড সংগঠিত করে প্রচলিত বিচার ব্যবস্খাকে মানুষের চোখে অকার্যকর ও অমর্যাদাকর প্রতিপন্ন করেছে, যত বড় সন্ত্রাসী হোক না কেন তার ক্রসফায়ারের মৃত্যু অনেক সত্য ঘটনা উদঘটনের সুযোগকে নষ্ট করে। কিন্তু জনগণকে এটা বোঝানো হয়েছে যে একটা সন্ত্রাসী মরল, জনগণ সাধুবাদ দিল, কিন্তু এর মাধ্যমে বিএনপি জোট নিজেদের গড ফাদারদের সুরক্ষিত করার সুযোগ পেয়েছে।
৩. ২৯ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার পেছনে কর্নেল ফারুক গং বা জেএমবি (পারস্পরিক সম্পর্কও আছে অনুমান করা যায়) যারাই জরিত এর অর্থ তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকে নস্যাত করতে চেয়েছে। তাদের সহযোগী হিসাবে বিএনপিজোট অবশ্যই সাহায্য করেছে।
৪. তারেক জিয়া ব্যবসা করলে অকল্পনীয় প্রফিট হয় আর সাধারণ মানুষ ব্যবসা করলে এমন আঙুল ফুলে কলাগাছ হয় না কেন! তার ব্যবসায় সরকারী প্রভাব কে সে অন্যায় মনে করে না, যা দূর্ণীতি সম্পর্কে মানুষের বিশ্বাসকে চটপোঘাত করা, এবং ঘুস, চুরিকে জাতীয়করণ করার একটা ঘৃন্য প্রচেষ্টা।
৫. বিদ্যুত সমস্যার সমাধানের জন্য বরাদ্দকৃত জনগনের টাকা নির্লজ্জভাবে আত্মসাত ও অপচয় করেছে। কানসাটে ও ফুলবাড়ীতে সাধারণ মানুষকে গুলি করার সাহস দেখিয়েছে যারা তাদের বেসিক রাইটের জন্য লড়েছে!
ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আওয়ামী লীগের সব ধরণের নেতৃত্বকে বিশেষত ছাত্রনেতাদেরকে বিভিন্ন ধরণের প্রোমশনাল ম্যাটেরিয়ালস দিয়ে লং টার্ম ক্যাম্পেইনের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
No comments:
Post a Comment