পোস্টের শিরোনাম দেখে এমন ভাবার দরকার নেই যে আমি কমলার ব্যবসায় কোমরে পড়নের লুঙি বেন্ধে নেমেছি। তবে লোকজনের সে রকম খাইছলত, ভাবতেও পারেন আমি পাশের গ্রামের সুন্দরী কমলার গুনকীর্তনে করতাল বাজানোর জন্য চান্স খুঁজতেছি! সেক্ষেত্রে আমার কিছুই বলার নেই, তবে লেখার আছে।
কমলার সাথে আমার অভিজ্ঞতা খুব একটা সুবিধার না। তার ভেতরের সৌন্দর্য উপভোগ করাতো দূর অস্ত, যতোবার চেষ্টা করেছি তাকে নিরাবরণ করতে ততোবারই আমার চোখ দিয়ে বয়ে গেছে গঙ্গা-যমুনা! আমিও চোখ মুছতে মুছতে তাকে ছেড়ে দিয়ে অন্য রাস্তা ধরেছি।
একবার এক বন্ধুর বাসার বসার ঘরে পা ছড়িয়ে টেলিভিশন দেখছি। যথারীতি পাশে ছিলো কমলা এবং আমার মহিলা বন্ধুটি। এইবার বন্ধুটির দিকে একটু কেমন করে তাকাতেই বুঝে গেলো কি বলছি। কমলার 'বস্ত্রহরণ', মাথা ঝাঁকিয়ে জানালো আমাকে সাহায্য করা তাঁর পক্ষে সম্ভব না। নিজে পারলে কর না পারলে বইয়া থাক!
দেস না ভাই, এমুন করস ক্যা?
ঃ- এ্যাঁ... আমি খুইলা দিমু আর মজা লুটবি তুই, হইবো না...
আরে দেস না, আমি পারলে কি তোরে কই?
ঃ- না পারলে গিয়া বিয়া কইরা ল, আমারে কস ক্যা? যা ফুট!
শেষমেষ অবশ্য বন্ধুটারে অতি কষ্টে পটিয়েছিলাম কমলার আবরণ খুলে আমার সামনে উপস্থাপন করতে। আর আমিও মহা সুখে, ডিভাইন আনন্দে কমলার স্বাদ উপভোগ করেছিলাম... আহা!!
আজকে এক নতুন কমলার সাথে পরিচয় হলো আমার। আমার বন্ধুটি তো এখন আমার পাশে নেই আমাকে সাহায্য করার জন্য। বাধ্য হয়ে নিজেই হাত চালালাম। অপরিপক্ক ভাবে এদিক ওদিক হাত চালাতেই ঘাবড়ে গেলাম - ওকি রক্ত বেরোয় যে! কমলার আগে আমিই মারলাম চিৎকার সজোরে...।
আমার চিৎকার শুনে একজন বললো। ভয়ের কিছু নাই, এটাই স্বাভাবিক। আমি আকাশ থেকে পড়লাম হলদে জিনিষের জায়গায় লাল জিনিষ দেখলে ঘাবড়ানোটাই স্বাভাবিক জানতাম, এখন শুনছি উলটোটা... ঘটনা কি?
অবশেষে হাত টাত মাখিয়ে, এখানে ওখানে 'রক্ত' লাগিয়ে তারপর উপভোগ করা হলো আমার রক্তিম কমলা। একটু টক টক লাগে, কিন্ত অসম্ভব রকমের দারুণ স্বাদ। দেখতে সভাবিক কমলার মতোই শুধু ভেতরটা হলদে না হয়ে লালচে।
ক্ষুধা ছিলো প্রচন্ড, খেয়ে নিয়েছি গোটা কয়েক। খাওয়ার পর ভাবলাম এবার শেয়ার করি সবার সাথে আমার কমলা খাওয়া!!
1 comment:
Too hilarious!!!!
Post a Comment