ভোটার আইডি বিষয়ে সমাধান নিতে একটা কমিটি করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে কোনকালেই কোন কমিটি করে কোন লাভ হয়নি। উল্টো এই কমিটির ভরন পোষন করে খরচ। আসুন আমরা নিজেরাই ঠিক করি সম্ভাব্য সমাধান কি হতে পারে।
প্রথম সমাধান হতে পারে আমেরিকার মত করে হাইটেক আইডি কার্ড তৈরী করা। এই সমাধান প্রথমেই বাতিল হয়ে যাবে। কেননা রিক্সাওয়ালার মত একজনের বাসায় এই কার্ড কোন ভাবেই সুরক্ষা আশা করতে পারেনা। তদুপরী এই কার্ডের আর কিইবা কাজ আছে?
আরকেটা সমাধান হতে পারে একটা পরিবারের জন্য মাল্টি পেজ কার্ড তৈরী করা। একটা পরিবারে পাঁচ জনের পাঁচটা কার্ডের জায়গায় একটা মেইনটেইন করা সুবিধা হবে। তখন আবার পাসপোর্টের কথা মনে হচ্ছে। কোনটাই ঠিক গ্রহনযোগ্য সমাধান মনে হচ্ছে না।
এ পর্যায়ে একটু চিন্তা করা যাক এই কার্ড ভোট দেয়া ছাড়া আপামর জনতার আর কি কাজে লাগতে পারে?
১। অথরিটাম হিসাবে ব্যবহার হতে পারে। মনে করুন বিভিন্ন জায়গায় আমাদের বিভিন্ন কাগজ পত্র জমা দিতে হয়। তাতে এটেস্টেট লাগে, প্রমান করতে যে সেটা আসল লোকের আসল কাগজ। আইডি থাকলে সেই আইডি নাম্বার ব্যবহার করতে সেটা ব্যবহার করা যায়। এটা এমনকি রিক্সাওয়ালা, চাষী সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
২। এটাকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যায়, যেমনটা করা হয় আমেরিকাতে
৩। পুলিশি কাজে ব্যবহার করা যায়। তাতে জনগনের হ্যারাসমেন্ট কমে অনেকটা।
৪। ভোট দেয়া তো আছেই।
কিন্তু এসমস্ত বাস্তবায়ন করতে গেলে তথ্য প্রযুক্তির বিশাল বিনিয়োগ লাগবে। এত ক্ষমতা আমাদের দেশের আছে তো?
আমার তো এখন মনে হচ্ছে কার্ডের ব্যাপারটাই পুরোটা অপ্রয়োজনীয়।
No comments:
Post a Comment