(আড্ডার ইংরেজী ভার্সনে প্রকাশিত)
জানুয়ারীর ২৫ তারিখে ওয়াশিংটন পোস্টে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে৷ বাংলাদেশে আশু নির্বাচনের কোন সম্ভাবনা নেই৷ নির্বাচন কমিশন, ভোটার লিস্ট ও প্রশাসনিক সংস্কার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের প্রয়োজন৷ জরুরী আইন জারির ব্যাপারে সামরিক বাহিনীর কৃতিত্ব খুব দ্রুত হারিয়ে যাবে যদি আশু নির্বাচন না হয়৷ ওয়াশিংটন পোস্টটির প্রতিবেদন বাংলাদেশে সামরিক বাহিনীর অতীতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেছে৷ সামরিক আইন আর জরুরী আইনের আওতায় যে মানবাধিকার লাঘব হতে থাকে তা আলাদা করে বলার দরকার হয় না৷
নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার পেছনে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিবেদনটির মূল উপজীব্য৷ জানুয়ারীর ১১ তারিখে ঘোষিত জরুরী আইন যদি দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তনের জন্য নির্বাচনকে বিলম্বিত করে তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অবিশ্বাস ও সন্দেহ প্রকট হয়ে উঠবে৷ জরুরী অবস্থায় রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ হওয়ার সুযোগে মৌলবাদী শক্তি ধমীয় প্রতিষ্ঠানভিত্তিক উন্মাদনা ছড়াতে পারে বলে যে আশঙ্কা পোস্টের প্রতিবেদনটির উপসংহারে টানা হয় তা অমূলক নয়৷ প্রয়াত রাস্ট্রপতি জিয়ার সামরিক আইনের শাসনামলে যে মৌলবাদী জামাতীদের পুনার্বিভাব ও প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তা ভুলে যাওয়া উচিত না৷ রাজনৈতিক অধিকার ও স্বচ্ছতা না থাকলে যে আন্ডারগ্রাউন্ড ও জঙ্গী রাজনীতি বাড়তি শক্তি ও উত্সাহ পায় তার জন্য কোন আলাদা গবেষণার দরকার নেই৷
No comments:
Post a Comment