Monday, July 30, 2007

জামাত নেতা নিজামীর একটি প্লট:


কেঁচো খুড়তে গিয়ে অনেক সময় সাপ বেরিয়ে আসে। জামাতের নেতা নিজামী বিশেষ বরাদ্দে রাজউকের প্লট পেয়েছেন। আজ ৩০শে জুলাইয়ের প্রথম আলোতে খবরটা অনেকের কাছে চমক দিলেও আমি একটুও অবাক হইনি। ধর্ম ব্যবসায়ী দলের প্রধান জামাত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর একটা প্লটের খবর অতি সামান্য ব্যাপার। যে দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির বাণিজ্য চলেছে তাতে ৫ কাঠার বনানীর প্লট নস্যি মাত্র। নিজামী-মুজাহিদ ইনক্ জামাতের লেবাসে সমাজ কল্যাণ আর শিল্প মন্ত্রণালয়ে যে অশুভ জামাতী প্রভাব প্রতিপত্তির চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে গেছে তার হিসেব কষবে কে? তেজগাঁও শিল্প এলাকার কোটি কোটি টাকার মূল্যের জমি নাম মাত্র মূল্যে তিনি দান করেছেন সেই ঘটনা এখন কি আর কারও মনে আছে? শিল্প মন্ত্রীর ভাগ্নে মামার সুপারিশ কব্জা করে লোহা লক্কর ব্যবাসায়ী মিজানুর রহমানের ২৫ লাখ টাকা লোপাট করে দিয়েছে সেই খবর ক'জনে মনে রাখবে। বরং সদাশয় সরকার একজন রাজাকার ঘাতক নিজামীর জন্য সহানুভূতির বন্যা বইয়ে দিবে। নিজামীর কুকর্মের শ্বেত পত্র কেউ দেখবে না, দুদকেও কোন মামলা উঠবে না। এভাবেই পার পেয়ে গেছে যুদ্ধাপরাধী ঘাতকের দল। সামনের দিকেও পার পেয়ে যাবে।

গত ৪০ বছরে নিজামী কোন বাড়ীর মালিক হতে পারেননি বলে বিএনপির বদান্যতায় নিজামী প্লট পেয়েছেন। সেখানে এই দুর্মূল্যের বাজারে ছ'তলা বাড়ী উঠছে। প্রতি শুক্রবার তার স্ত্রী আর ছেলে গিয়ে দেখভাল করে আসেন। এখন রাজউক দাবী করছে, "তারা কিছু জানে না"। কারণ, তাদের দাবী, কুকর্মটি করেছে মন্ত্রণালয়। তবে এই নজরানার কারণ হিসেবে কাগজপত্রে বলা হয়েছে, "রাস্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদানের জন্য নিজামীকে এই প্লট দেওয়া হলো"। সরকারের কর্তাব্যক্তিরা চোখের মাথা খেয়ে চেয়ারে বসেন। উপদেস্টা ব্যরিস্টার মঈনুল হোসেন স্মরণ করতে পারেন না,
ঘাতক মুজাহিদ কে? উপদেস্টা জেনারেল মতিন ভাবতেই পারেন না, "জামাতীরা কোন দূর্নীতির সাথে জড়িত থাকতে পারে"। এভাবেই এক মঈনুল আর এক মতিনের সাফাই সাক্ষীতে কি লাখো শহীদের রক্ত রঞ্জিত নিজামী মুজাহিদরা কি রেহাই পাবে ইতিহাসের নিষ্ঠুর কাঠগড়া থেকে?

হয়তো একজন
ইমরান ফারুকের লেখায় উঠে আসবে দশ ট্রাক অস্ত্র পাচারের নেপথ্য নায়ক তদানীন্তন শিল্প মন্ত্রী নিজামীর কথা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে জাতীয় সেনশেসন তৈরী করা অনেক সহজ যখন জামাতী আমলনামা আমরা ভুলে যাই। হয়তো একজন সাজ্জাদ জহির যখন ইতিহাস ঘেঁটে জামাতীদের সাথে সামরিক বাহিনীর সংযোগের বিপজ্জনক সূত্র চোখের সামনে তুলে ধরেন তখনও কি আমরা নির্বিকার হয়ে বসে থাকতে পারি? নস্টদের হাতে সবকিছু চলে যাবে এই অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি না হয়ে তাকে প্রতিরোধ করার জন্য এই অভাগা জাতি আবারও গর্জে উঠবে এই প্রত্যাশা কি খুব বেশী?

1 comment:

Anonymous said...

Whatever you say giving reference to Prothom alo, it will hardly believbale. because it is a biased , newspaper edited by a lost character editor who was once a leftist, now favorite to the embassedor of USA.