Wednesday, January 31, 2007

যুদ্ধ শেষ ভাবার অবশা নেই!

গতকাল এক আড্ডায় সহব্লগার একটা বাচ্চা ছেলের গল্প শোনালেন। ছেলেটি পাকিস্থানী পন্য পছন্দ করে না। তার মধ্যে এবোধটা জাফর ইকবালের বই পড়ে তৈরী হয়েছে। আশ্চর্য্য হচ্ছে, তখন অন্য একজন ব্লগার প্রসংগটি ঘৃনার চর্চা হচ্ছে বলে তার মতামত দিলেন। আজকের উদীয়মান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সন্বন্ধে জাগ্রত রাখা আমাদের একাতাবদ্ধ জাতীয়তাবাদ উন্মেষের একটা অন্যতম অবলম্বন। ঠিক এ জায়গাটাতে উদারীকরণের প্রচেষ্টাকে আমি এজন্য সাপোর্ট করতে পারি না। প্রত্যেকটা জাতি যেখানে তার রাষ্ট্র, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি নিয়ে গর্ব করার মত উপাদান সমৃদ্ধ করছে সেখানে আমাদের গর্ব করার বিষয়গুলো হালকা করে মুক্তিযুদ্ধ শেষ বলে নতুন প্রজন্মকে এ চেতনা গড়ে উঠতে অন্তরায় সৃষ্টি করাকে আত্মঘাতী মনে করি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়াশীলরা অযথাই বিতর্ক সৃষ্টি করে।

এটা দিনদিন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে যে মুক্তিযুদ্ধের সুফল দেশের মানুষকে পৌছাতে সবচেয়ে বেশী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে পরাজিত শক্তি ও তাদের দালালেরা। স্বাধীনতার পর এরা দিনদিন শক্তিশালী হয়েছে জিয়ার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়। তাদের বুদ্ধিজীবি, সংবাদমাধ্যম, নেটওয়ার্ক এত সংগবদ্ধ যে নব্য এক শ্রেণীর বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা শুরু হয়েছে যার প্রধান বক্তব্য হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধে আমাদের জয় হয়েছে, এখন এর বিরোধিতাকারীদের কথা বলতে দিলেও কোন অসুবিধা নাই। এটা হচ্ছে প্রকাশ্যভাবে সেই দালালদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা এবং জনগণকে স্বাধীনতার সুফল থেকে বঞ্চিত করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার নীলনকশা। এতে মটিভেটেড হয়েছে আমাদের অনেক পরিচিত চিন্তাশীলরাও। বিষয়টা নিয়ে আমাদের এখনই সোচ্চার হতে হবে। ৩৫ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে বলে যুদ্ধ শেষ ভাবার অবশা নেই!

1 comment:

S M Mahbub Murshed said...

বাচ্চা ছেলের ব্যাপারটা লিটল টু মাচ লেগেছে। আমি স্বাধীনতা বিরোধী কোন কিছু মেনে নিব না। তাই বলে ২০০৭ এ এসে একজন পাকিস্থানীকে দেখলে থুতু দেব। এটা একটু বেশীই।