বাংলাদেশে চলছে নাটকীয় বিচার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি জনৈক আজম চৌধুরীর নিকট থেকে তিন কোটি চাঁদা নিয়েছেন বলে সামরিক সরকার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অবশ্য সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর লোকজনের হাতে মামলাকারী উধাও হন। তারপর মামলা দায়ের করার পর পরই তিনি মু্ক্তি পেয়ে বাড়ী ফেরেন। বর্তমান সামরিক সরকার তাঁর হাঁটুতে নেমে আসা বুদ্ধি দিয়ে এই নাটকীয় মামলায় নেমেছে। এর আইনগত বা প্রামাণিক সত্যতা নিয়ে আইন বিশেষজ্ঞসহ সাধারণ মানুষের মনে যথেস্ট সংশয় ও প্রশ্ন আছে। আজকের চ্যানেল আইনে প্রচারিত আজকের সংবাদপত্রের আলোচনায় অবজার্ভার পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর আলোচনার ভিডিওটি এখানে দেখুন:
বর্তমান সামরিক সরকার তার মাইনাস ফর্মুলা বাস্তবায়নের জন্য যে প্রক্রিয়া আর পদ্ধতি গ্রহণ করেছে তা যথেস্ট হাস্যকর। এর ফলে সরকার যে বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতাকে নির্মমভাবে বলি দিচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিচারের জন্য এধরণের রাখঢাক করে সাজানো মামলা দিয়ে সরকার নিজের রাজনৈতিক এজেন্ডাকে জনগণের কাছে স্পস্ট করছে। এই মামলার অভিযোগের দূর্বলতা ও অস্পস্টতার বিশদ বিশ্লেষণ করেছে এশিয়ান সেন্টার অব হিউম্যান রাইটস। অবশ্য সরকার তার পছন্দের পথে এগোবে। এর মধ্যে আছে নির্বোধদের ঔদ্ধত্য। তা হাস্যকর হলেও সমস্যা নেই। এর আইনগত দূর্বলতা থাকলেও সমস্যা নেই। গোয়ার্তুমির কাছে যুক্তি খাটে না।
No comments:
Post a Comment