গতকাল এক সেমিনারে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাণী ও ধর্মোপদেশ যথেস্ট আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি একজন স্বাধীনতাবিরোধী বিতর্কিত ব্যক্তি শাহ আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে এই সেমিনারে যোগ দিয়ে তার রাজনৈতিক অবস্থান বেশ অকপটভাবেই পরিস্কার করলেন। দৈনিক সংগ্রামের আজকের সংখ্যা থেকে তার বক্তব্য তুলে দিলাম:
আপনার জন্য একজন ধর্ষিতা সৌদী মহিলার বিচারের নমুনা দিয়ে দিলাম:
Saudi justice unveiled
প্রধান বিচারপতি রুহুল আমীন বলেছেন, ইসলামী আইনই একমাত্র দুর্নীতি প্রতিরোধে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে ‘ইসলামী আইন ও সমকালীন সমাজে এর অবদান' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি রুহুল আমীন প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনারটির আয়োজন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (বিআইআইটি) ও ইসলামিক ল' রিসার্চ সেন্টার এন্ড লিগ্যাল এইড বাংলাদেশ। বিআইআইটি'র প্রেসিডেন্ট ও সরকারের সাবেক সচিব শাহ আবদুল হান্নান সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।মাননীয় প্রধান বিচারপতি, এবার আপনি আমাদেরকে হাইকোর্ট দেখানো শুরু করেছেন। কোন বিচিত্র কিছু নয় যে আপনার সময়কালে জামাতীরা আইনের ফাঁক ফোঁকড় দিয়ে বেরিয়ে আসবে। অবশ্য ক'দিন আগেই হান্নান শাহ রাস্ট্রবিরোধী চার্জ থেকে অব্যাহতি পেয়েছে। আপনার এতোটুকু লজ্জাবোধ হলো না, শাহ আবদুল হান্নানের মতো এক বিতর্কিত স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারের সভাপতিত্বে ইসলামের বাণী প্রচার করতে। ইসলামের নাম বেচে ১৯৭১ সালে হান্নান-মুজাহিদরা কি করেছে তা আপনি ভুলে গেছেন? আমরা ভুলিনি। ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিষাক্ত ছায়া আমরা প্রত্যক্ষ করছি। সারা বিশ্বে মুসলিম দেশগুলোতে আইনের শাসন আর মানবাধিকারের করুণ চিত্রের কারণ যে ধর্মের নামে প্রতারণা তা আপনি বুঝতে পারেননি? সৌদী আরবের আইন শৃংখলার প্রতি আপনার অগাধ আস্থা দেখে আমি অবাক হই। হায়রে অভাগা দেশ!! নির্বোধদের হাতেই আমরা বিচার বিভাগকে সমর্পন করে আইন ও ন্যায়বিচারের স্বপ্ন দেখি। আপনাকে আবার রাস্ট্রপতি নিয়োগের কানাঘুষাও একসময় শোনা গিয়েছিল। ধিক্কার জানাই প্রধান বিচারপতির প্রতি যিনি ১৯৭১ দেখেন না, যিনি রাজাকার হান্নানকে দেখেন না। যিনি ধর্মের নামে প্রতারণা আর জঙ্গীবাদের উত্থান দেখেন না। যিনি অন্ধের মতো সৌদী আইন-বিচার ব্যবস্থার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ধর্মের সাথে রাজনীতির মিশ্রণ কতোটা বিপজ্জনক তা আমরা দেখেছি, এখন ধর্মের সাথে আইন গুলিয়ে আবারও বোকা বানাবার চেস্টা করা হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি তার ভাষণে বলেন, আমরা সমাজে এখনো নানা ধরনের দুর্নীতি দেখছি। দুর্নীতি প্রতিরোধে বেশ কিছু ভালো পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। তারা সফলভাবে অনেক দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তির চরিত্রটাকেই বদলে ফেলেছে। একমাত্র ইসলামী আইন কাঠামোর শিক্ষাই দুর্নীতিবাজদের মধ্যে নৈতিকতা জন্ম দেয়। কোন দুর্নীতিবাজ তখন দুর্নীতি করতে পারে না। বিচারপতি রুহুল আমীন বলেন, ইসলাম বিশ্বের বৃহত্তর অঞ্চল মধ্যপ্রাচ্যের সমাজে শান্তি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।... অনেক আইন গ্রন্থেই তাদের ইসলামী আইনের ধারা ও উপধারাগুলো সন্নিবেশন করা হয়েছে। তখন থেকেই ইসলামী আইন ব্যবস্খার অধীনে সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্খা কার্যকর ছিল। আইনজীবী ও বিচারপতিরা এক সঙ্গে কাজ করেছেন সুষ্ঠু বিচার বন্টনের জন্য। এ ঐতিহ্য এখনো সৌদি আরবসহ অনেক দেশে সমানভাবে কার্যকর। সৌদি আরবে আইন-শৃংখলা পরিস্খিতি এখনো অনেক জাতির চেয়ে ভালো।
আপনার জন্য একজন ধর্ষিতা সৌদী মহিলার বিচারের নমুনা দিয়ে দিলাম:
Saudi justice unveiled
No comments:
Post a Comment