Sunday, September 9, 2007

A design to favor Jamaat-e-Islami

Bangladesh daily Shamakal published a detailed analysis of the recent developments in Bangladesh that substantiates how the military backed caretaker government is tacitly favoring the fundamentalist Islamic party Jamaat-e-Islami. Most of the Jamaat leaders have been spared from charges even they were allegedly involved into corruption, terrorism, money laundering and drug trafficking. Their crimes went unpunished as the Army backed Government maintained their blind eye on them even these news reports have been widely circulated in the national dailies. To our surprise, some Advisers have even come forwarded in support of Jamaat's cause and they have publicly announced Jamaat's immunity from corruption. This stand has seriously tarnished the current government's impartial image. Bangladesh needs to get rid of the fundamentalist Jamaat-e-Islami as they have always inspired and abetted terrorism, fundamentalism and fanaticism since the birth of this nation. Read this investigative report in published in Daily Shamakal on September 8, 2007:

জামায়াতি ছকে দেশ
চারদলীয় জোট সরকারের সুবিধাভোগী হলেও বিএনপির বিপর্যয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই
সমকাল প্রতিবেদন
সেপ্টেম্বর ৮, ২০০৭

সবকিছু চলছে জামায়াতে ইসলামীর ছকে এমন ধারণা দেশের রাজনীতি-সংশ্লিসটদের। তাদের ধারণা, দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নানামুখী টানাপড়েন চলছে। অস্হিরতায় ভুগছেন এক সময়কার ডাকসাইটে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। তাদের কেউ গ্রেফতার হয়েছেন, কাউকে কাউকে দন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে আবার কেউ কেউ আত্মগোপনে গেছেন। সংস্কার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলের মধ্যে এত টানাপড়েন ও অস্থিরতার পরও শতভাগ নিরাপদে আছে জামায়াতে ইসলামী। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বিতর্কিত এই রাজনৈতিক দলটি এখন অন্যদের মতো সংস্কারের প্রতিক্রিয়ায় নেই। এমনকি গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন না জামায়াতে ইসলামীর বহুল বিতর্কিত নেতারা। তারা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে আছেন। এক সময় বিএনপির কাছ থেকে সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতা পেলেও বিএনপির বর্তমান দুর্দিনে জামায়াত নিশ্চুপ। অপেক্ষায় আছে নতুন সুযোগের।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গত ১৬ জুলাই গ্রেফতার হওয়ার আগে তার সন্তান সম্ভবা কন্যা সায়মা হোসেন পুতুলের শয্যাপাশে থাকতে আমেরিকায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মামলা থাকায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে আমেরিকায় যেতে দেওয়া হয়নি। অথচ মামলা থাকার পরও নির্বিঘ্নে বিদেশ ঘুরে এসেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী এবং সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। জামায়াতে ইসলামীর বহু নেতার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনে তাদের সমর্থকরা থাকায় ওইসব মামলার কাজ এগোচ্ছে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃস্টিতে, দেশের বর্তমান পরিস্টি’তিতে ঝড়ের আঘাতে ক্ষমতাসীন সাবেক তিন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ এলডিপি বিধ্বস্ত হয়ে আছে। অথচ বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোটের ক্ষমতার অংশীদার জামায়াতে ইসলামীতে এর আঁচড়ও লাগেনি।

রহস্যজনক কারণে এ দলটি সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়ে গেছে। এ দলের নেতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন। তাদের সঙ্গে সবার বেশ সখ্য। যার কারণে এক সময়ে তাদের ক্ষমতার অংশীদাররাসহ খোদ খালেদা জিয়া গ্রেফতারের পরও জামায়াতে ইসলামীর নেতা রয়েছেন বহাল তবিয়তে। তারা এখন অপেক্ষায় আছেন নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের।

দেশের বর্তমান পরিস্টি’তির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর বেশিরভাগ নেতাই ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষকে দায়ী করছেন। ভয়াবহ ওই সংঘর্ষের প্রধানতম হোতা বলে পরিচিত জামায়াতে ইসলামী। রাজপথের ওই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাও হয়েছে। অথচ এ রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে সরকার কোনো অভিযোগ খুঁজে পাচ্ছে না বলে ধারণা দেওয়া হচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে জঙ্গি মদদদানের সুস্পস্ট অভিযোগ আছে। চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অক্টোবর চোরাচালান করে আনার ঘটনার সঙ্গেও জামায়াতে ইসলামীর সম্পৃক্ততার কথা ফলাও করে প্রচার পেয়েছে। ওই সময়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী শিল্কপ্পমন্ত্রী ছিলেন। সরকারে থেকে বিশেষ সুযোগে তিনি বনানী প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন। আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের নামেও উত্তরায় প্লট আছে। রাস্ট্রীয় দায়িত্বে থাকার সুযোগে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার মতো অনিয়মের ঘটনাতেও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে আজতক আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ হয়ে কথা বলছেন দুই-একজন উপদেস্টা। যার কারণে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠছে।

অনেকের দৃস্টিতে, জামায়াতে ইসলামী ‘ওয়ান ইলেভেন’র লাভবান রাজনৈতিক দল। এ অবস্থায় সাংবাদিকরা কিছু দিন আগে যোগাযোগ উপদেস্টা এমএ মতিনের কাছে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে ব্যবস্হা গ্রহণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সরাসরি বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ তাদের কাছে নেই।

বিএনপি-জামায়াত জোট পাঁচ বছর রাস্ট্র পরিচালনা করেছে। বিএনপি ছাড়া ওই সময়ে ক্ষমতার অংশীদারী ছিল জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির। কিন্তু ইসলামী ঐক্যজোট ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিকে বঞ্চিত করে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী ওই সরকারের একমাত্র ঘনিষ্ঠ অংশীদার ছিল।

চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলে দেশজুড়ে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। অথচ আল্লহর আইন ও সৎলোকের শাসনের শ্লোগানধারী জামায়াতে ইসলামীর নেতারা ক্ষমতার অংশীদারিত্ব থাকায় সামান্যতম আপত্তি করেননি। বরং বিএনপিকে উৎসাহিত করেছেন। নিজেরা সুযোগ সুবিধা আদায় করেছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হয়েছেন। এর আগে ৭ মার্চ গ্রেফতার হন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান। তাদের গ্রেফতার নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নীতিনির্ধারক নেতারা কোনো প্রতিত্রিক্রয়া ব্যক্ত করেননি। এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার গ্রেফতার প্রসঙ্গেও তারা চুপচাপ হয়ে আছেন। যদিও ক্ষমতার পাঁচ বছর বিএনপি তথা জোট সরকারের সকল কর্ম ও অপকর্মের সঙ্গী ছিল জামায়াত।

জঙ্গি সংগঠনগুলোতে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা-কর্মীদের সরাসরি সম্পৃক্ততা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা, ২২ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনে যেতে বিএনপিকে উৎসাহিত এবং ২০০৭ সালের ২৮ অক্টোবরে পুরানা পল্টনসহ আশপাশের এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার মতো অনেক অভিযোগ রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে।

মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জঙ্গি নেতা সিদ্দিকুর রহমান বাংলাভাইয়ের পক্ষে কথা বলেছিলেন। এমনকি তিনি ‘বাংলাভাই মিডিয়ার সৃস্টি বলেও অভিহিত করেন। তার এ বক্তব্য পরে মিথ্যা হিসেবেই প্রমাণ পেয়েছে। জঙ্গি সন্ত্রাসী সিদ্দিকুর রহমান বাংলাভাই ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থন করতেন বলে স্পস্ট স্বীকার করেছেন। নিজামীর অস্তিত্বহীন বাংলাভাইসহ ছয় শীর্ষ জঙ্গির ইতিমধ্যেই ফাঁসি হয়েছে।

চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিস্ট অনিয়মের কারণে মতিউর রহমান নিজামীকে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। একই কারণে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের কাছ থেকে বিধবা ভাতার বরাদ্দ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করেন।

বিভিন্ন সূত্রের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, জামায়াতে ইসলামীর ১৭ জন সাবেক সাংসদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বিরুদ্ধেই দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, খুন এবং ত্রাণের টিন আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ আছে।
পল্কল্টনসহ আশপাশের এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার পর মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও কামারুজ্জামানসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ ও আবদুল কাদের মোল্লসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে।

এছাড়াও আলী আহসান মুজাহিদের বিরুদ্ধে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে চাঁদাবাজি, পাবনা-৫ আসনের সাবেক সাংসদ মাওলানা আবদুস সুবহানের বিরুদ্ধে ত্রাণের টিন আত্মসাৎ, চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে সম্পদের মিথ্যা হিসাব দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। খুলনা-৫ আসনের সাবেক সাংসদ মিয়া গোলাম পরওয়ারের বিরুদ্ধে আসিফ জুট মিলের ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট ও আড়াই কোটি টাকার বিদুৎ বিল বকেয়া রেখে মিলটিকে দেউলিয়া করার অভিযোগ রয়েছে।

গাইবান্ধা-১ আসনের সাবেক সাংসদ মাওলানা আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে ত্রাণের টিন আত্মসাতের অভিযোগ আছে। তাদের মধ্যে শাহজাহান চৌধুরী ও আবদুস সুবহানসহ কয়েকজন আত্মগোপনে আছেন। একমাত্র গ্রেফতার হয়েছেন কুমিল্লা-১২ আসনের সাবেক সাংসদ ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ তাহের। তার বিরুদ্ধে লুটপাট ও চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। সাতক্ষীরা-৫ আসনের গাজী নজরুল ইসলাম এবং নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক সাংসদ মিজানুর রহমান চৌধুরী দু’জনেই নিজে থেকে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা আছে। সিলেটে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও শাহজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। এত কিছুর পরও জামায়াতে ইসলামী নেতাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা খুঁজে না পাওয়াটা রহস্যাবৃত।

স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের নেতৃত্বে পরিচালিত জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে রগ কাটা, শিক্ষক হত্যা, সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সহিংস ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। অথচ তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ ‘মাইনাস’ ফর্মুলার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। অথচ জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী বহাল তবিয়তে ওই ফর্মুলার বাইরে আছেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠনের অ্যাকাউন্ট এবং অর্থ লেনদেন করার অভিযোগ পাওয়ার পরও ওই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জামায়াতে ইসলামী সংশ্লিস্ট আরেকটি প্রতিষ্ঠান বিডি ফুডসের বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানের ঘটনা প্রমাণ পাওয়ার পরও সেটি রেহাই পেয়ে গেছে।

এছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির হিসাব কখনোই নেওয়া হয়নি। ওইসব প্রতিষ্ঠানে অর্থ আসছে কোত্থেকে, কে এর আসল মালিক, লভ্যাংশ কোথায় যায় এ ধরনের অনেক প্রশ্নও রয়ে গেছে। এত কিছুর পরও জামায়াতে ইসলামী নিরাপদ থাকায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। এ রাজনৈতিক দলের নেতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে দুই ধরনের মতামত আছে। ওই মহলের দৃস্টিতে, সরকার ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন স্তরে জামায়াতে ইসলামীপন্থিরা শক্ত জায়গায় আছেন। তাদের অনেকে নিজেদের বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে গোপনে জামায়াতে ইসলামীর স্বার্থ রক্ষা করছেন। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আন্তর্জাতিক কোনো ষড়যন্ত্র থাকতে পারে, যার অংশ হিসেবে এ মুহূর্তে তারা রক্ষা পাচ্ছে।

বিএনপির ওপর ভর করে জামায়াতে ইসলামী চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্হানে নিজ দলের সমর্থকদের বসিয়েছে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিশ্বাস, জামায়াতে ইসলামী তাদের সমর্থকদের বিএনপিতেও রেখেছে। ওই শ্রেণীর সমর্থকরা নিজেদের বিএনপির কর্মী হিসেবে পরিচয় দিলেও প্রকারান্তরে জামায়াতে ইসলামীর স্বার্থ রক্ষা করছেন। এ সমর্থকদের সহায়তা দিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। এমনকি কোনো ঘটনায় তাদের সংশ্লিস্টতা প্রকাশিত হয়ে পড়লে জামায়াত তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক অস্বীকার করার পথ খোলা রাখে।

বিএনপির অনেকে মনে করেন, কোনো কারণে বিএনপি ব্যর্থ কিংবা ক্ষতিগ্রস্হ হলে লাভবান হবে জামায়াতে ইসলামী। সেই টার্গেট নিয়েই জামায়াতে ইসলামী কৌশলে বিএনপির ঘাড়ে চেপে বসেছিল। বর্তমানেও তারা প্রায় একই রকম কৌশল অবলম্বন করছে। জামায়াতে ইসলামী নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা সম্পর্কে দলের সহকারী সেত্রেক্রটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান এর আগে ‘সমকাল’কে বলেছিলেন, এগুলোর সবই ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও অসার। তিনি স্পস্ট করেই বলেছিলেন, তারা দলের কোনো সংস্কার করবেন না। তারা প্রতিনিয়তই সংস্কার করছেন। নতুন করে প্রয়োজন নেই।

No comments: