Courtesy of: প্রকৃতিপ্রেমিক
১.
জলপাই মামারা আজিজ সুপার মার্কেটের উপরতলায় গিয়ে প্রত্যেকটি এ্যাপার্টমেন্ট তন্য তন্য করে তল্লাশি করেছে। এরপর একটা একটা করে ছাত্র ধরে এনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়েছে। তারপর যা হবার তাই। ছাত্রদের "গরু পেটা" করা হয়েছে। ছাত্ররাই যত নষ্টের মূল। আন্দোলন করিস *** বাচ্চারা!
এটি একাত্তরের কোন ঘটনার বর্ণনা নয়। স্বাধীনতার ৩৬ বছর পরের ঘটনা। জলপাই রাঙানো বাংলাদেশের রাজধানীর একটা খন্ডচিত্র।
২.
নিন্দুকেরা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে জলপাই বলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। কিন্তু আমি তা করবনা। আমি সেনাপ্রধানের কাছে অনুরোধ করছি
* সেনাবাহিনী এদেশের কৃষক মজুরের ঘামে ঝরানো রেশনের চাল খেয়ে বড় হয়: আপনারা দিনমজুর আর হকারদের উপর একটু দয়া করুন
* সেনাবাহিনীর গৌরবগাঁথা পড়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয় দেশের শতশত ছাত্র-শিক্ষক-জনতা: আপনারা ছাত্রদের আর গরুপেটা করবেন না। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যরাতে গ্রেফতার করবেন না।
* রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতার পরে আপনারা যখন পরোক্ষভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেন, দেশের মানুষ আপনাদের স্বাগত জানিয়েছিল: দয়া করে দেশের মানুষের এত কঠিন পরীক্ষা নেবেন না।
* দেশের জনগনের সম্পদ যারা ধ্বংস করে তাদের ছবি তুলুন, পুলিশে ধরিয়ে দিন, বিচার করুন: কিন্তু কারফিউ তুলে নিন।
আমি আপনাদের আর জলপাই বলবনা, বিনিময়ে আমার বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে দয়া করে শাসাবেন না। আমি আপনাদের বিরুদ্ধে আর ব্লগ লিখবনা, বিনিময়ে আপনি আমাকে আপনাদের সুনজরে নিন। আপনারা মহান, আপনারা বীর সেনা। আমরা চুনোপুটি আপনাদের কথামত চলব আর রসগোল্লার ছিটেফোঁটা রস যদি আপনাদের পাত থেকে গড়িয়ে পড়ে তো চেটেপুটে খাব। আপনাদের বুটে পিষ্ট হওয়ার চেয়ে, এসএমজি'র বাঁটের গুতা খাওয়া চেয়ে, ব্যাটনের আঘাতে কোমর ভাঙার চেয়ে আমি নাহয় ব্লগের রাজাকার হয়েই বেঁচে থাকব। অতপর সুদিন এলে হাঙরে খাওয়া নিশান উড়িয়ে হয়তো সংসদে বসব, নতুন নতুন কানুন তৈরী করব।
আহা.. বেঁচে থাকাটা আমার বড় দরকার এখন।
No comments:
Post a Comment